সোনা আত্মসাতের অভিযোগ
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি স্ট্যান্ড রিলিজ
বেনাপোল সংবাদদাতা : অবশেষে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদারকে রবিবার সকালে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি মোশাররফ হোসেনকে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বহুল আলোচিত ৫১টি সোনার বার উদ্ধারের পর ৩৬ পিস জমা দেওয়ার ঘটনায় তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ২ জানুয়ারি মোমিন নামের এক সোনা চোরাচালানিকে ৫১টি সোনার বারসহ আটক করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় পোর্ট থানায় দায়ের করা মামলায় ৩৬টি সোনার বার জব্দ দেখান। পোর্ট থানার ওসি কাইয়ুম ও এএসআই রফিকের বিরুদ্ধে ১৫টি সোনার বার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র মামলাটি ডিবি পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ১৩ জানুয়ারি আসামি মোমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে ওসি ও উপ-পরিদর্শকের সোনা আত্মসাতের ঘটনা। ডিবি পুলিশ ও আদালতে দেওয়া মোমিনের স্বীকারোক্তিতে ৫১টি সোনার বার আটকের কথা ওঠে আসায় বিষয়টি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে ২৮ জানুয়ারি যশোর পুলিশ সুপারের কাছে তদন্ত রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ওসি কাইয়ুমকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪)