চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সমাবেশে যোগ দিতে যাবার পথে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ভবনের সিকিউরিটি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সিএমপির কোতোয়ালি থানার সামনে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালানো হয়। পুলিশ এ সময় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে সিডিএ কর্মচারীদের অভিযোগ। হামলার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ।

প্রত্যক্ষদর্শী সিডিএর এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা সিডিএ ভবনের তৃতীয় তলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দারোয়ান ও সিকিউরিটি ইনচার্জকে মারধর করে এবং তার কক্ষের টেবিল, চেয়ার, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করে।

তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রলীগের ছেলেরা সমাবেশে যাওয়া জন্য সিডিএর সংরক্ষিত গেটের ভেতর জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে কর্তব্যরত দারোয়ানরা তাদের নিষেধ করেন এবং গেটের বাইরে থাকতে বলেন। এতে উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা তৃতীয় তলায় উঠে ভাঙচুর এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন।

জানা গেছে, ঘটনার পরপরই মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সিডিএ বোর্ড মেম্বার হাসান মুরাদ বিপ্লবসহ সিডিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জরুরি বৈঠক করেছেন।

এ ব্যাপারে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু দ্য রিপোর্টকে জানান, হামলা বা ভাঙচুরের কোনো ঘটনা হয়নি। লালদীঘির সমাবেশে যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু কর্মী সিডিএ ভবনের সামনে জড়ো হলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। ফলে সেখানে একটু উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে নেতারা উদ্যোগী হয়ে কর্মী-সমর্থকদের শান্ত করেন।

এ ব্যাপারে জানতে কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দিনকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

(দ্য রিপোর্ট/এমএআর/এম/মার্চ ০১, ২০১৬)