দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের সমন্বয়ক এমকে রহমান। অন্যদিকে রায়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

এমকে রহমান বলেন, ‘আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে আইনগত পদক্ষেপ নেবে সরকার।’ যদি তারা দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ না করে তাহলে কূটনৈতিকভাবে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এমকে রহমান আরও বলেন, ‘আসামিদের ইন্টারপোলের মাধ্যমেও দেশে আনা যায়। তবে কীভাবে এ প্রক্রিয়া চালানো হবে তা রাষ্ট্র ঠিক করবে।’

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রায়ে বলা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী একাত্তরে ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল। রায়ে আরও বলা হয়েছে, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিলেন চৌধুরী মুঈনুউদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খান। তাদের এ জঘন্য অপরাধের জন্য তারা ‘শুধু এবং শুধুমাত্র’ফাঁসির যোগ্য। তাদের মৃত্যুদণ্ড না হলে তা হতো বিচারের ব্যর্থতা।’

এমকে রহমান বলেন, ‘রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে বিজয়ের শেষ মুহূর্তে জাতিকে মেধাশূন্য করার ষড়যন্ত্র হিসেবে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। এ লক্ষ্যে আসামিরা ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট শিক্ষক, সাংবাদিক ও ডাক্তারদের অপহরণ করে হত্যা করেছিল। জামায়াতে ইসলামীর পরিকল্পনাতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।’

মামলা পরিচালনাকারী প্রসিকিউটর শহিদুর রহমান বলেন, ‘বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ বলেন, ‘যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের এক সময় সম্মানিত করা হয়েছে। কিন্তু হত্যাকারীরা যে রক্ষা পায় না তা আজ প্রমাণিত।’

রাষ্ট্রনিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী সালমা হাই টুনি রায়ে হতাশ উল্লেখ করে বলেন, ‘রায়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আসামিরা ফিরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে হয়তো আপিলে প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে।’

(দিরিপোর্ট২৪/এআইপি/এনডিএস/এমডি/নভেম্বর ০৩, ২০১৩)