তরুণ কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য কবিতা, গল্প ও মুক্তগদ্যে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য। পাশাপাশি কয়েকটি কাগজ সম্পাদনার সঙ্গে জড়িত। নিয়মিত প্রচ্ছদের কাজও করছেন। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওয়াহিদ সুজন

এবারের বইমেলায় নতুন কী কী বই আসছে? কোন প্রকাশনী থেকে?

বইয়ের নাম- পুরুষপাখি। এটি মুক্তগদ্যের বই। প্রকাশক- ঋতবর্ণ।

আপনি তো লেখালেখি ছাড়াও প্রচ্ছদের সঙ্গে জড়িত। এবার কতগুলো বইয়ের প্রচ্ছদ করলেন? গুরুত্বপূর্ণ কিছু বইয়ের কথা বলুন।

হ্যাঁ, প্রচ্ছদও করি। তবে প্রফেশনালি করি না। অধিকাংশ ফ্রি করি এবং মনের আনন্দে করি। এবার প্রচ্ছদ করেছি ৭০-৮০টি। আরও কয়েকটা করতে হবে। প্রচ্ছদ করার ক্ষেত্রে আমি সব প্রচ্ছদই যত্ন ও মমতা নিয়ে করি।

প্রচ্ছদ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বইকে গুরুত্ব দেন কি?

না, বিশেষ কোনো বইকে গুরুত্ব দিই না। আমার কাছে প্রচ্ছদ করার ক্ষেত্রে সব বই-ই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমান প্রচ্ছদশিল্পের অবস্থা নিয়ে বলুন?

বর্তমান প্রচ্ছদশিল্পের অবস্থা ভয়াবহ। এখন সবাই প্রচ্ছদ করতে চান। প্রচ্ছদে এখন আর আমরা আঁকি না, কম্পিউটার গ্রাফিক্স করি। শিল্পীরা এখন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে গেছেন। খুবই দুঃখজনক। কাইয়ুম চৌধুরী, পূর্ণেন্দুপত্রীর মতো আর প্রচ্ছদ পাই না।

এবার বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে বলুন?

নির্দিষ্ট কোনো বই কেনার পরিকল্পনা নেই। তবে তরুণ কবিদের কবিতার বই কিনব। কারণ তরুণরা অনেক ভালো কবিতা লেখেন।

বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

বইমেলা সম্প্রসারণ খুবই ভালো। তবে একাডেমির বাইরে বইমেলা জমবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ মানুষ একাডেমির ভেতরে অভ্যস্ত। তবে কয়েক বছর গেলে নিশ্চয়ই জমবে।

(দ্য রিপোর্ট/ডব্লিউএস/এইচএসএম/জামান/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)