আমানউল্লাহ আমান : নামে জেলহত্যা দিবসের সমাবেশ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রবিবার বিকালের ওই সমাবেশ কার্যত আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শোডাউনে পরিণত হয়।

সরেজমিনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে দেখা যায়, নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণে অনেকেই এসেছেন বিশাল কর্মী-সমর্থক বাহিনী নিয়ে। কর্মী সমর্থকদের হাতে শোভা পায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নাম, ছবি আঁকা ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন আর প্ল্যাকার্ড। দলীয় প্রতীক নৌকার নামে শ্লোগানও ছিল। সঙ্গে শোনা গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশী ‘ভাইদের’ নাম।

ঢাকা-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমকে তার সমর্থকরা কাপড়ের তৈরি সুসজ্জিত নৌকা ভ্যানে চড়িয়ে নিয়ে আসেন সভাস্থলে। একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ড. আওলাদ হোসেনও পিছিয়ে থাকতে চাননি । তার সমর্থকদের হাতেও ছিল নৌকা ও ‘আওলাদ ভাই’র পক্ষে ভোট চাওয়া প্ল্যাকার্ড।

চোখে পড়েছে ঢাকা-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ মিজানুর রহমান খান দিপুর সমর্থকদের।ছিলেন একই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হারুনুর রশীদ মুন্নার সমর্থকরাও। এই সমর্থকদের গায়ে ছিল তাদের নেতার ছবি সম্বলিত টি-শার্ট।

জেলহত্যা দিবসের এ সমাবেশ যেন ‘পুনর্বাসিত’ করেছে রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় বিতর্কিত ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ তৌহিদ মুরাদ জংকে। তার সমর্থকরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতার নামে স্লোগান দিয়ে উৎচ্চকিত ছিলেন সভাস্থলে। ‘সাভারের মাটি মুরাদ জংয়ের ঘাঁটি, আশুলিয়ার মাটি মুরাদ জংয়ের ঘাঁটি’ ইত্যাদি লেখা ব্যানার শোভা পাচ্ছিল মুরাদ সমর্থকদের হাতে।

(দিরিপোর্ট২৪/এএ/এইচএস/এমডি/নভেম্বর ০৩, ২০১৩)