দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিদ্যাদেবীর অর্চনার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার সারাদেশে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হবে। সনাতন ধর্ম মতে ঈশ্বরের জ্ঞানশক্তি হচ্ছে সরস্বতী। তার গায়ের রঙ শুভ্র। আর বসন ও ভূষণ সবই শুভ্র। দেবীর এক হাতে বীণা আর অন্য হাতে থাকে পুস্তক। দেবীর বাহন শ্বেত হংস।

প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তাই এ তিথিকে শ্রী পঞ্চমী বলা হয়। এ দিন দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা হয় অনেক স্থানে।

বিভিন্ন মন্দির ও বাড়িতে সার্বজনীনভাবে এ পূজা উদযাপিত হলেও এ পূজাকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের আগ্রহই থাকে বেশি। ফলে দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৈরি করা হয় পূজামণ্ডপ। এ সব মণ্ডপকে নানাভাবে সাজান শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠে। এখানে বিভিন্ন বিভাগের ৫০-এর অধিক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে।

পূজার দিন সকাল ৬টায় প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হবে। তারপর শুরু হবে বাণী অর্চনা। ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে, বিশ্বরূপে বিশালক্ষ্মী বিদ্যাংদেহী নমস্তুতে’ মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে পুরোহিতরা পূজার আচার শুরু করবেন এবং ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেবেন।

এ ছাড়াও রয়েছে প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি।

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/জেএম/জামান/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)