দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অবহিত করতে অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেমের (স্বয়ংক্রিয় লেনদেন প্রক্রিয়া) প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। সোমবার দুপুর ১২টায় বিএসইসি কার্যালয়ে এ প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়েছে।

ডিএসইর প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বপন কুমার বালা এবং বিএসইসির সকল কমিশনার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

স্টেকহোল্ডারদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ডিএসইর অটোমেডেট ট্রেডিং সিস্টেম সম্পর্কে জানাতে চিঠি পাঠায় বিএসইসি। ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর বিএসইসির পরিচালক মনসুর আলম স্বাক্ষরিত পাঠানো চিঠিতে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডিএসইর বর্তমান ট্রেডিং সিস্টেমে মাঝেমধ্যেই লেনদেন নিষ্পত্তিতে বিঘ্ন ঘটছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ডিএসইর স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে, যা ডিএসইকে অনেক সমালোচিত করেছে। এ পরিস্থিতিতে এমন একটি ট্রেডিং সিস্টেম চালু করা উচিত, যা নিরবচ্ছিন্নভাবে লেনদেন নিষ্পত্তি করবে- এটি ডিএসইর কাছে প্রত্যাশা।

ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু এ বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘শেয়ারবাজারের লেনদেন নিষ্পত্তির জন্য নতুন অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম চালু করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য উপযোগী প্রযুক্তির সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা (প্রেজেন্টেশন) দিয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই নতুন ট্রেডিং সিস্টেমটি চালু করতে সক্ষম হব।’

জানা গেছে, শেয়ারবাজারের লেনদেন নিষ্পত্তির সফটওয়্যার ম্যাচিং ইঞ্জিন (এমই) বা কোর ইঞ্জিন ও অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই। ডিএসইর চাহিদা মোতাবেক ইতোমধ্যে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য উপযোগী প্রযুক্তির সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছে। ম্যাচিং ইঞ্জিনের জন্য নাসডাক, মিলিনিয়াম আইটি ও ফাইন্যান্সিয়াল টেকনোলজিস ইন্ডিয়া লিমিটেড (এফটিআইএল) প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। এ ছাড়া অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের জন্য ফ্লেক্সট্রেড, ওমনিস, টাটা, এফটিআইএল ও পোলারিস প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। বিশেষ করে নাসডাক বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য উপযোগী প্রযুক্তির সফটওয়্যার সম্পর্কে একটি স্টাডি রিপোর্ট ডিএসইতে দাখিল করেছে। ওই স্টাডি রিপোর্ট ও প্রেজেন্টেশনগুলো বুয়েটের অধ্যাপক ড. কায়কোবাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক্সপার্ট প্যানেল ডিএসইর অটোমেশন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন শুধু সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে দর-দাম নির্ধারণ করা বাকি আছে। শিগগিরই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে ডিএসই কর্তৃপক্ষ দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডব্লিউএন/জামান/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)