মীর কাসেমের ফাঁসির রায়ে চট্টগ্রামে মিষ্টি বিতরণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে গণজাগরণ মঞ্চসহ মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের বিভিন্ন সংগঠন।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর জামালখান চেরাগী পাহাড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন গণজাগরণের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার পরপরই তারা আনন্দ মিছিল বের করেন। মিছিলটি চেরাগী পাহাড় জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে ঘুরে আবার চেরাগী পাহাড়ে গিয়ে শেষ হয়।
চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক শরীফ চৌহান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মূল হোতা মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সর্বোচ্চ ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখায় দেশবাসী খুশি হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে মাতৃভূমিকে কলঙ্কমুক্ত করার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ রাজাকারমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে গণজাগরণ মঞ্চ।
এদিকে, মীর কাসেম আলীর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখায় নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় সমাবেশ ও মিছিল করেছে কয়েকটি সংগঠন। তারা সেখানে পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে আনন্দ মিছিল করে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ড।
মীর কাসেমের ফাঁসির রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় প্রয়াত বাম নেতা সাইফুদ্দিন খানের স্ত্রী ও নারীনেত্রী নূরজাহান খান বলেন, আমার স্বামীর মতো অনেক মুক্তিকামী বাঙালিকে মীর কাসেম আলীর নির্দেশে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের বেঁধে রেখে অসহ্য নির্যাতন চালানো হয়েছিল। মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ে নির্যাতিতদের স্বজনদের আত্মা শান্তি পাবে। সেদিন যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের বেদনা এ রায়ে কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তারা তো আর কোনোদিন স্বজনদের ফিরে পাবে না। মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
(দ্য রিপোর্ট/এএসটি/সা/মার্চ ০৮, ২০১৬)