চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজডুবি : তদন্তে কমিটি
চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এলাকায় লাইটারেজ জাহাজডুবির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের নটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জালাল উদ্দিন গাজীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন শফিকুল ইসলাম দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নৌবাণিজ্য অধিদপ্তরের দুজন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ১০টার দিকে বহির্নোঙর থেকে সিমেন্টের ক্লিংকার নিয়ে বন্দর উপকূলে আসার সময় অলিম্পিক সিমেন্টের মালিকানাধীন খান অ্যান্ড সন্স-১ নামে জাহাজটি অন্য একটি বিদেশি মাদার ভেসেলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সাগরে ডুবে যায়।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন নাজমুল আলম জানান, ডুবে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজটিতে মোট ১২ নাবিক ছিলেন। রাত ১২টা পর্যন্ত আটজনকে এবং মঙ্গলবার সকালে তল্লাশি চালিয়ে বাকি চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আলফা এঙ্করেজের উত্তরে নোঙর করা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে সিমেন্টের ক্লিংকার খালাস করছিল খান সন্স-১ নামে লাইটারেজ জাহাজটি। ওই সময় গ্রেট সিনারি নামক আরেকটি মাদার ভ্যাসেলের সঙ্গে লাইটারেজ জাহাজটির ধাক্কা লাগলে সেটি ডুবে যায়। পরে বন্দর থেকে একটি উদ্ধারকারী টাগবোট ও কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতভর উদ্ধারকাজ পরিচালনা করে ১২ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে।
তবে জাহাজডুবির কারণে বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএআর/এম/মার্চ ০৮, ২০১৬)