দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে কাশিমপুর কারাগারের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক হারুনূর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতিক্রমে মওদুদকে জেলগেটে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিন ছিল। আরও দুই কার্যদিবসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ ছাড়া মামলার রেকর্ডপত্র জব্দ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদকের কাছে সরবরাহের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি আত্মসাতের অভিযোগে মওদুদ আহমদ ও তার ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

ইনজে মারিয়া ফ্ল্যাজ ও তার স্বামী মো. এহসান পাকিস্তানি নাগরিক বিবেচিত হওয়ায় এবং স্বাধীনতার পূর্বে এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় গুলশানের অন্যান্য প্লটের ন্যায় এন ডাব্লিউ (এইচ), হোল্ডিং নং- ১৫৬ বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়, যা পরবর্তীতে ১৯৭৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী ও উচ্চপর্যায়ে সরকারি দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিজে এবং যুক্তরাজ্যের স্থায়ী নাগরিক তার সহোদর মনজুর আহমদের নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ওই সম্পত্তি ভোগদখলের মাধ্যমে আত্মসাত করেন।

গুলশান আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সরকারি এক বিঘা ১৩ কাঠা ১৪ ছটাক জমি আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বাড়িটির আনুমানিক মূল্য ৩০০ কোটি টাকার অধিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএফ/এইচবিএস/এমএআর/শাহ/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)