নিষ্প্রাণ লিটলম্যাগ চত্বর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সাহিত্যাঙ্গনে লেখকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে একঝাঁক মেধাবী তরুণের হাতে যাত্রা শুরু হয় লিটলম্যাগের। তারপর সেখান থেকে তৈরি হয়েছে অনেক কবি ও লেখক। গত পাঁচ দশকের ইতিহাস খুঁজলেও দেখা যাবে প্রতিনিধিত্বশীল অনেকেই লিটলম্যাগ চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত লিটলম্যাগ সর্বসাধারণের কাছে স্পষ্টভাবে ধরা দেয়নি। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সোমবার লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণে এসে ছিমছাম নীরবতা দেখে এমনটাই বোধগম্য হয়েছে।
সারা বইমেলাজুড়ে বইপ্রেমী মানুষের ভিড় থাকলেও মেলার তৃতীয় দিন সোমবার দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চোখে পড়ার মত মানুষ দেখা যায়নি লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণে। বরাবরই লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণে থাকে জনশূন্যতা, এরই মধ্যে মেলায় অনুমতি পাওয়া ৫৫টি স্টলের মধ্যে অধিকাংশই উপস্থিত হয়েছে পুরাতন সংখ্যা নিয়ে। বরাদ্দ পাওয়া লিটলম্যাগের মধ্যে এখনও মেলায় আসেনি- বনপাংশুল, অরনি, গান্ডীব, দাঁড়কাক, গল্পকথা, কবিতাপত্র, জংশন, দ্রষ্টব্য, কবিতাবাংলা, শুদ্ধস্বর ও চর্যাপদ। এ সব পত্রিকা সম্পৃক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাল পরশুর মধ্যেই নতুন সংখ্যা নিয়ে হাজির হবেন তারা।
মেলায় আসা তরুণ আশিকুর রশীদ বলেন, আট দশক ধরে লিটলম্যাগ আন্দোলন করে এলেও এটি কেন এখনও মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেনি তা একটি প্রশ্ন বটে। অনেকের মত আমিও লিটলম্যাগ শুভানুধ্যায়ীদের একজন। তারপরও বলব- পাঠকের মনোজগতের চিন্তার সঙ্গে সমন্বয় করে এ সব প্রকাশনা হলে হয়ত সর্বসাধারণের দৃষ্টিতে আসবে লিটলম্যাগ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এইচএসএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)