যশোরে বিএনপির হামলায় ৪ আ.লীগকর্মী আহত
ইমামের বাড়িতে আগুন, কোরআন শরিফ পুড়ে ছাই
যশোর অফিস : যশোরে আওয়ামী লীগকর্মীদের দেওয়া আগুনে সদর উপজেলার তেঘরিয়া মসজিদের ইমামের বাড়ির আসবাবপত্রসহ পবিত্র কোরআন শরিফ ও ধর্মীয় পুস্তকাদি পুড়ে গেছে। পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্থানীয় বিএনপিকর্মীরা রবিবার আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে মারপিট করে। পরে রাতে আওয়ামী লীগেরকর্মীরা জামায়াত সমর্থক ইমাম রাজু আহমেদের বাড়িতে আগুন দেয়।
ইমাম রাজু আহমেদের আত্মীয় শাহিদা জানান, আওয়ামী লীগের কর্মী খায়েরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রবিবার রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িটি থেকে নগদ টাকা, মূল্যবান মালামাল লুট ও ভাঙচুর করে। যাওয়ার সময় তারা পেট্রোল ঢেলে বাড়িতে আগুন দেয়। এতে বাড়িটি পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়। ঘরে থাকা চারটি কোরআন শরিফ, হাদিসসহ ধর্মীয় পুস্তক ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এর আগে, রবিবার নতুনহাট পাবলিক কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তার সফরসঙ্গী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহিতকুমার নাথ জানান, নবীনবরণ শেষে বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মীরা সংসদ সদস্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়।
তাদের হামলায় আহত হন আওয়ামী লীগকর্মী টিপু সুলতান, তোফায়েল, শাহীন ও আবদুর রাজ্জাক। পরে তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ সোমবার দুপুরে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।
ইমামের বাড়িতে আগুন দেওয়ার বিষয়টি জানতে নাবিল আহমেদের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুর রশিদ নতুনহাট-তেঘরিয়া এলাকায় সন্ত্রাস, মারপিট, অগ্নিসংযোগের কথা শুনেছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া বাড়িটির মালিক রাজু আহমেদ জামায়াতের কোনও দায়িত্বশীল নেতা নন। বড়জোর সমর্থক হতে পারেন।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর ফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, পুড়ে যাওয়া বাড়ির মালিক মসজিদের ইমাম ও জামায়াত কর্মী। ঘটনাস্থলে তিনি নিজেসহ পুলিশের কয়েকটি দল একাধিকবার পরিদর্শন করেছে। ঘটনার জন্য এখনও কেউ আইনের আশ্রয় নেয়নি।
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/একে/এমএআর/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)