চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রকে বলাৎকার করল ছয় সন্ত্রাসী
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : জেলার বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় ৬ বখাটের পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক কিশোর। বলাৎকারের শিকার ১৩ বছরের কিশোর রুবেল (ছদ্মনাম) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
শুক্রবার রাতে বর্বর এ ঘটনাটি ঘটলেও তা প্রকাশ পেয়েছে রবিবার সকালে। দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, রুবেল যন্ত্রণায় ছটফট করছে। কথা বলতেও খুব কষ্ট হচ্ছিল তার।
রুবেল স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তারা বাবা পিডিবির লাইনম্যান সহকারী হিসেবে কাজ করেন। আর মা একটি পোশাক কারখানার কর্মী।
রুবেলের বাবা দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে তার ছেলে বাসার বাইরে হাঁটতে বের হয়। বায়েজিদের শেরশাহ কলোনীর বাসার পাশেই বড় মাঠ, সেখানে হাঁটছিল সে। হঠাৎ সোহেল নামের স্থানীয় এক বখাটে রিকশা থেকে নেমে তার রুবেলকে টেনে-হিঁচড়ে মাঠের এক কোণে নিয়ে যায়। সেখানে বখাটে সোহেলের সঙ্গে যোগ হয় আরও ৫ জন।
সোহেল, সোহাগ, মিরাজ, নাজিম ও হান্নান মিলে তার ছেলেকে ধারাল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় দুজন তাকে কিলঘুষি মারে এবং মুখ চেপে ধরে। এরপর মাঠের নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে বলাৎকার করে।
রুবেলের মা জানান, দীর্ঘক্ষণ ছেলে ঘরে না ফেরায় তিনি রুবেলকে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে মাঠের এক কোণে একটি জটলা দেখে সেখানে গিয়ে ছেলের ওপর ছয় সন্ত্রাসীর পাশবিকতা দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, ওই ছয় সন্ত্রাসী শেরশাহ এলাকায় এই ধরনের অপকর্ম আগেও করেছে। তারা ফোন করে মামলা না করতেও হুমকি দিচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের কনসালট্যান্ট ডা. রিভুরা চক্রবর্তী দ্য রিপোর্টকে জানান, কিশোর রুবেলের ওপর নির্যাতনের আলামত মিলেছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে মেডিকেল ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ঘটনা শুনে আমি একজন অফিসার পাঠিয়ে ভিকটিমের বক্তব্য রেকর্ড করেছি। এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার জন্য কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে আসামিদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এএসটি/সা/মার্চ ১৩, ২০১৬)