চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামে বন্ধকী সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে কৃষি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চট্টগ্রাম চা বোর্ড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শাহেদ হাসান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মীর কাশেম, মেসার্স ফিশ হোম লিমিটেডের প্রধান হিসাব কর্মকর্তা দিপক চৌধুরী ও গুদাম কর্মকর্তা সাহেদুল হক। আসামিরা সবাই পলাতক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চারটি ডিওয়ের মাধ্যমে ফিশ হোম লিমিটেডের রফতানিযোগ্য চিংড়ি মাছ কৃষি ব্যাংকের চা বোর্ড শাখায় বন্ধক থাকাবস্থায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি চিংড়ি মাছ গুদাম থেকে বের করে বিক্রি করে দেন। ১৯৯৩ সালের ৩ থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি। এই ঘটনায় সাহেদ হাসানের পরের ব্যবস্থাপক আকিকুর রহমান একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেন

দুদক আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিচারক রায়ে পলাতক চার আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড, ৬০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৬০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে এ অর্থ সংগ্রহের জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দেন আদালত। দুদকের আইনজীবী জানান, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৩ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এর আগে ১৯৯৮ সালের ১৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক তারাপদ শিকদার।

(দ্য রিপোর্ট/এএসটি/সা/মার্চ ১৩, ২০১৬)