শেখ রাসেল-আবাহনীর ম্যাচ ড্র
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেখ রাসেলের হাইতির মিডফিল্ডার প্যাসকেল মিলিয়েন গোল না পাওয়ার আক্ষেপ; ম্যাচ শেষে বেশ কয়েকবার মাটিতে ঘুসি মেরেছেন। না; হলো না। দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না সনি নর্দের স্বদেশি। তবে হারেনি তার দল। আবাহনীর বিপক্ষে সোমবার গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
চলতি লিগের শুরু থেকেই শেখ রাসেলের হয়ে খেলার কথা ছিল প্যাসকেলের। সে অনুযায়ী বাংলাদেশেও এসেছিলেন আইরিশ লিগ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ ফুটবলার। কিন্তু ক্লাবটির সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় লিগের একটি ম্যাচ না খেলে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন প্যাসকেল। পরে তাকে ফিরিয়ে এনেছে শেখ রাসেল। সোমবার আবাহনী বিপক্ষেই প্যাসকেলের ছিল প্রথম ম্যাচ। ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও দলকে গোল উপহার দিতে পারেননি তিনি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল শেখ রাসেল। বক্সের বাইরে থেকে প্যাসকেলের ফ্রি কিক থেকে পোস্টে শট নিয়েছিলেন জ্যামাইকান মিডফিল্ডার রিকার্ডো কাজিন্স। তার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেছেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। ২৭ মিনিটে সুযোগ আসে আবাহনীর। ডানপ্রান্ত থেকে ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পেট্রিকের শট রাসেলের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য দক্ষতার সঙ্গে গ্লাভস বন্দি করেছেন। ৪১ মিনিটে বক্স লাইনে ফ্রি কিক পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি প্যাসকেল। তার শট আবাহনীর প্রতিরক্ষা দেয়ালে লেগে ফিরে এসেছে।
বিরতির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন শেখ রাসেলের ফুটবলাররা। ৫৫ মিনিটে রিকার্ডো কাজিন্সে কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন প্যাসকেল। পরে বামপ্রান্ত থেকে তার শট সাইডবারে লেগে মাঠে বাইরে চলে গিয়েছে বল। ৫৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে রবিনের বাড়ানো বলে প্যাসকেলের শট আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল ফিস্ট করে দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। ৬৭ মিনিটে আবাহনীর মিডফিল্ডার তৌহিদুলের শট রুখে দিয়েছেন শেখ রাসেলের গোলরক্ষ বিপ্লব ভট্টাচার্য। পরে বেশ কয়েকটি আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ হলেও গোলের দেখা পায়নি কোন দলই।
প্যাসকেল আসায় দলের খেলায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ মারুফুল হক। তিনি বলেছেন, ‘প্যাসকেল দলে যোগ দিয়েছে। তাই দলের শক্তিমত্তায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্যাসকেল অনেক সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে। কিন্তু খেলা দেখে মনে হয়েছে তার ওপর আস্থা রাখতে পারব।’ম্যাচ শেষে প্যাসকেল বলেছেন, ‘খেলাটা উপভোগ করেছি। লক্ষ্য ছিল নিজের সেরাটা খেলা। আগামীতে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করব।’
অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের প্রশংসা করে আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষ ভালো ফুটবল খেলেছে। আমাদের খেলোয়াড়রা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে। তা না হলে ফলটা আমাদের পক্ষে থাকতে পারত।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪)