দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার তৃতীয় দিন সোমবার বিভিন্ন বিষয়ের ৬০টি বই মেলায় এসেছে। এর মধ্যে গল্পের বই ৮টি, উপন্যাস ৯টি, প্রবন্ধ ৫টি, কাব্যগ্রন্থ ১৩টি, জীবনী ১টি, রচনাবলী ১টি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ১টি, ভ্রমণ ৬টি, রম্যধাঁধা ১টি , ধর্ম বিষয়ক ৩টি ও অনুবাদ ১টি । তবে বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে নাটক, গবেষণা, ছড়া, শিশুসাহিত্য, রাজনীতি, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য বিষয়ক, কম্পিউটার ও বিজ্ঞানবিষয়ক কোনো বই মেলার তৃতীয় দিনে প্রকাশিত হয়নি।

হুমায়ূনবিহীন এবারের মেলায় অন্যপ্রকাশ প্রয়াত নন্দিত এই লেখকের পুরনো লেখার সংকলন ‘হিমু দশ’ ও ‘কাকারু’ নামের দুটি বই প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘মিথ্যা বলার অধিকার ও অন্যান্য’ এবং ‘কিশোর কবিতা’, ও ‘ভয় কিংবা ভালবাসা’ নামের দুটি বই প্রকাশ করেছে অনুপম প্রকাশনী।

এবারের গ্রন্থমেলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় মোট ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ২৩২টি মূল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪৩২টি ইউনিট; বাংলা একাডেমির ভিতরের অংশে ২৪টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৩৩টি ইউনিট এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান-মিডিয়া ও অন্যান্য ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবার উন্মুক্তসহ ৫৫টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন কর্নারটি লিটলম্যাগ আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব প্রয়াত কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করছেন তাঁদের বই বিক্রি/প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০% কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বিক্রি করবে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণকে ভাষাশহীদ চত্বর (সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত ও শফিউর), রবীন্দ্র, নজরুল, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, সোমেন চন্দ, বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত চত্বর এবং একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে স্বীকৃতি লাভের অন্যতম প্রস্তাবক প্রয়াত রফিকুল ইসলাম চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নজরুল মঞ্চের সামনে শিশুকর্নারে থাকবে শিশু-কিশোর বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

মেলায় অংশগ্রহণকারী ২০১৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগতমান বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’এবং গ্রন্থমেলায় সর্বাধিক সংখ্যক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য শ্রেষ্ঠ তিনটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।

মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবার ৪ দিন শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ৫০টির অধিক নতুন বই পাওয়া যাবে।

গ্রন্থমেলা ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা অবধি খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

উল্লেখ্য, এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা সদ্যপ্রয়াত ভাষাসংগ্রামী, লেখক-গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/ জেএইচ/এপি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)