রঙিন বইয়ের ছবি করে মজা পান ধ্রুব এষ
ধ্রুব এষের জন্ম ১৯৬৭ সালের ৭ জানুয়ারি সুনামগঞ্জে। মা লীলা এষ, বাবা ভূপতি এষ। চারুকলা শিল্পী ধ্রুব এষকে মানুষ চেনেন একজন নামজাদা প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে। বাংলাদেশের প্রচ্ছদ শিল্পে তার ভূমিকা রীতিমত অবিস্মরণীয় ঘটনা। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ধ্রুব এষকে নামে চেনেন দীর্ঘকাল, সরাসরি দেখেননি। সহস্রাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব। হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় বইগুলোর অধিকাংশ প্রচ্ছদ তার করা। অসংখ্য প্রচ্ছদের ভিড়ে পাঠকের চিনে নিতে কষ্ট হয় না ধ্রুবর কাজগুলো। সাহিত্যিক হিসেবে রয়েছে ধ্রুব এষের আলাদা খ্যাতি। বিশেষ করে ছোটদের জন্য লেখা তার ছড়া-কবিতা, ছোটগল্প ও সায়েন্স ফিকশন আলাদাভাবে মূল্যবান। ধ্রুব এষের লেখা প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। আঁকা-লেখা দুই জায়গাতেই তিনি স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন। দ্য রিপোর্টের পক্ষ থেকে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আদিত্য রুপু
এবারের মেলার জন্য কতগুলো বইয়ের প্রচ্ছদ করলেন? গুরুত্বপূর্ণ কিছু বইয়ের কথা বলুন?
সংখ্যা ঠিক করে বলা মুশকিল। ৩০০ তো হবেই। বইমেলার কাজ শুরু হয়ে যায় ৩-৪ মাস আগে থেকেই। কাজ চলছে এখনও। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়েই চলবে। কত বই-ই তো করলাম। কোনটার নাম বলব! ছোটদের কাজগুলো করে ভালো লেগেছে। শিশুসাহিত্যিক আমীরুল ইসলামের দুটি ছড়ার বই ‘সোনালি ছড়া’ ও ‘রূপালি ছড়া’র প্রচ্ছদ করে আনন্দ পেয়েছি। রঙিন এই বই দুটো সবার ভালো লাগবে। ছোটদের ঝলমলে রঙিন বইয়ের ছবি করে মজা পাই।
প্রচ্ছদ করার ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বইকে গুরুত্ব দিয়েছেন কী?
না, একই তো। আলাদাভাবে কম-বেশি গুরুত্ব দেওয়ার সুযোগ নাই।
বর্তমান প্রচ্ছদ শিল্পের অবস্থা নিয়ে বলুন?
ভালো। আমাদের বইয়ের প্রচ্ছদ ও কিছু ক্ষেত্রে বই বিশ্বমানের হচ্ছে। কাইয়ুম চৌধুরী স্যার, হাশেম খান স্যার ভালো করেছেন। এখন তো অনেকেই ভালো করছেন- উত্তম দা, মাসুক ভাই, সব্যসাচী, মামুন, মিস্ত্রী, মেহেদী সবাই।
এবারে বই কেনার পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন?
না, তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। বইমেলায় খুব কম যাওয়া হয়। গেলেও খুব বেশি ঘোরাফেরা করা হয় না। সারা বছরই বই কেনা হয়।
বইমেলার স্থান সম্প্রসারণের বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
নতুন এই সিদ্ধান্তের কী হবে, না হবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।
আসবে, প্রতিবারের মতো ৩-৪টা। এখনই বলতে পারছি না, কোনটা আসবে কোনটা আসবে না। ছোটদের জন্য লেখা ২-১টা বই আসতে পারে। আপাতত প্রচ্ছদ নিয়েই ব্যস্ত আছি।
শিশুসাহিত্য ও ছোটদের জন্য কিছু বলুন।
আমাদের শিশুসাহিত্য আমাদের গর্ব। গর্ব করার মতো শিশুসাহিত্য আমাদের আছে। ঝলমলে এই লেখাগুলো যারা লেখেন, তারাও কম রঙিন নয়! ছোটদের উদ্দেশে কী বলব! তোমরা বই পড়, যেটা ভালো লাগে সেটাই পড়। তোমাদের জন্য প্রতিবছর বইমেলাতেই অসংখ্য শুভ্র-সুন্দর বই নিয়ে হাজির হচ্ছেন লেখকেরা।
(দ্য রিপোর্ট/এআর/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)