দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঐতিহ্যবাহী ‘পাখিমেলা-২০১৪’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

দিনব্যাপী এ মেলা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের সামনে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন পাখিমেলার আয়োজক কমিটি-২০১৪’র আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা ফিরোজ।

মেলা কমিটি জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানসূচিতে রয়েছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি নিয়ে আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী, টেলিস্কোপে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, অডিও ও ভিডিও’র মাধ্যমে পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক কুইজ, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

মেলার দিন মোট আটটি স্টলে পাখি প্রদর্শিত হবে। নতুন প্রজাতির পাখি ও পাখি সম্পর্কিত তথ্য দেওযার জন্য এবারের মেলায় তিনজনকে ‘বিগ বার্ড অব দ্য ইয়ার’ সম্মননা প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি লেকসহ পুরো ক্যাম্পাসে প্রায় ১৮৯ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে প্রায় ৮০ প্রজাতির অতিথি পাখি ও ৯০ প্রজাতির দেশি পাখি রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাখিমেলার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ দ্য রিপোর্টকে জানান, পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। জাবি ক্যাম্পাসকে জীববৈচিত্র্যের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা যায় কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৭৩ অনুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে জীববৈচিত্র্যের অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা যায় না। তবে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে ‘ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া’ হিসেবে ঘোষণা করতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে জাবিতে প্রতি বছর পাখিমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)