ধীরে বাড়ছে দর্শক উপস্থিতি
মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : মেলার তৃতীয় দিন ছিল সোমবার। সাপ্তাহিক ছুটি না থাকলেও মেলায় আগত দর্শকের সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে এই গতি ধীর।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বইপ্রেমী মানুষেরা প্রথমেই প্রবেশ করে মেলার মূল প্রাঙ্গণ বাঙালির জাতিসত্তার প্রতীক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। খানিক ঘোরাফেরা করে তাদের পছন্দের বই না পেয়ে প্রবেশ করেন স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত মেলার আরেক প্রাঙ্গণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলার পরিধি প্রসারিত করে প্রথমবারের মতো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেওয়ায় অনেক পাঠক খুশি। তবে আশানুরূপ দর্শক সমাগম হলেও কেনাবেচার দৃশ্য তেমন চোখে পরেনি মেলার তৃতীয় দিনেও। প্রকাশকদের প্রত্যাশা শিগগিরই চিরচেনা রূপে ফিরবে মেলা।
দিন দিন মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকাশকদের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে। কিন্তু মেলার বাইরে রাস্তায় বসা পাইরেটেড বই বিক্রি হওয়ায় অনেক লেখক-প্রকাশক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মেলা শুরুর আগেই কাজী নজরুল ইসলামের মাজার থেকে টিএসসি হয়ে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত এ সব অবৈধ বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে প্রশাসনের শরণাপন্ন হলে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিলেও সন্ধ্যায় পুনরায় সারি সারি পাইরেটেড বইয়ের পসরা বসে।
রাজধানীর লালবাগ থেকে ঘুরতে আসা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, ‘রাস্তায় সাজানো এ সব বইয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই। তা ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাতাই অনুপস্থিত রয়েছে। জ্ঞানপিপাষু পাঠকের মধ্যে যা তথ্যের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
প্রকাশকরা জানান- শুধুমাত্র মেলাকেন্দ্রিক জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো সারা বছরের লগ্নি করা পুঁজি ওঠানোর একমাত্র সময় এই মেলা। এখানে যদি প্রশাসনিক পাহারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তাহলে হতাশা ব্যক্ত করা ছাড়া আমাদের কী করার আছে? প্রকাশকরা এ সব পাইরেটেড বই বিক্রির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাংলা একডেমিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)