সরস্বতী ভক্তদের সার্থকতা এনে দিক
ভক্তের উপাসনায় দেবীর যে রূপ তাই নির্দিষ্ট সময় বেদিতে স্থাপন করে ভক্ত পূজার অর্ঘ্য দেয়। দেবী সরস্বতী বিদ্যা, শিল্পকলা ও সংগীতের বিমূর্তরূপ। এই দেবীর পূজারীরা মনে করেন, দেবী পূজা গ্রহণ করলে ভক্তের বিদ্যা, সংগীত ও শিল্পকলায় পরিপূর্ণতা আসবে। বাংলা অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা সরস্বতী পূজা করে আসছেন।
হিন্দু ধর্মের দেবী হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও সহপাঠীদের এই পূজা অনুষ্ঠানকে ভক্তির সঙ্গেই নিয়ে থাকেন। সেই বিচারে বলা যায়, সরস্বতী ভক্তদের অতিক্রম করে পরিপার্শ্বেও তার শোভা ও নান্দনিকতা ছড়িয়ে দিয়ে আসছেন।
আর্যরা আসার আগে থেকেই সরস্বতী দেবীর অস্তিত্ব ভারতবর্ষে ছিল। তবে আর্যরা এই দেবীর পূজাকে মহিমান্বিত করেছেন। আর্যদের পূজায় নদী সরস্বতী দেবী হয়ে উঠেছেন। আবার জ্ঞান শিক্ষার দেবী হিসেবে তিনি জ্ঞানালয়ে পূজিত হতে শুরু করেছেন। তিনি যে শ্বেতবসনে আবির্ভূত হন তা শুধু বিদ্যা, সংগীত, শিল্পকলার প্রতীক নয়, শান্তিরও প্রতীক। তাই এই দেবীর পূজার সঙ্গে শান্তি কামনার একটি সম্পর্ক বিদ্যমান। এটাই হিন্দু ধর্মের অন্য অনেক দেব-দেবীর সঙ্গে সরস্বতীর দৃশ্যমান পার্থক্য।
বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষা, সংগীত ও শিল্পকলা প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে। দেবীর পূজারীরা তাদের আরাধনায় সার্থকতা লাভ করুক সেই কামনা করি।