দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শীতকে বিদায় জানাতে বসন্ত তার আগমনী গান শুনিয়ে দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সময়ের প্রভাব শরীরেও পড়ে। আমাদের দেশের ছয় ঋতুর মধ্যে যেন এই সময়টাতেই চুল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এই সময় যেমন চাই বাড়তি যত্ন তেমনই কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তাই পাঠকদের জন্য আজ তেমন কিছু টিপস দেওয়া হল যেগুলো আপনারা মেনে চলতে পারেন এই সময়।

শীত ও শীতের শেষের এই সময়ে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে বলে আমরা অনেকেই রুক্ষতা দূর করতে অল্প সময়েই কন্ডিশনার বা এই জাতীয় জিনিস ব্যবহারে সাময়িকভাবে পরিত্রাণ পেতে চাই। তবে দীর্ঘ দিন কন্ডিশনারের ব্যবহার চুলের দীর্ঘ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এর থেকে মুক্তি পেতে হারবাল পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে যাতে কেমিক্যালের ক্ষতিকারক উপাদান নেই। যেমন ডিমের কুসুম গোসলের কিছুক্ষণ আগে লাগাতে পারেন। এরপর মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়াও চায়ের লিকার শ্যাম্পু করার পর ব্যবহার করতে পারেন।

গোসলের পর চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করি আমরা অনেক সময়। হেয়ার ড্রায়ারের গরম বাতাস চুলকে আরও রুক্ষ করে তোলে। যতটা সম্ভব এটি এড়িয়ে চলা ভালো। তা না হলে চুল ও মাথার ত্বকের চামড়া শুষ্ক হয়ে পড়ে যাতে করে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।

গোসলের পর তোয়ালে আলতো করে জড়িয়ে রেখে চুলের পানি শুকিয়ে ফেলুন। চুল বেশি ঘষবেন না।

মাথার ত্বক তৈলাক্ত হলে শুষ্কতা বেড়ে যায়। যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তারা প্রতিদিন রাতে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। তেল মাথার ত্বক আর্দ্র রাখে।

চুলের গোড়া শক্ত থাকে পরিমিত পরিমাণ প্রোটিন শরীরে বিদ্যমান থাকলে। এই সময় খাবারের তালিকায় মাংস, ডিম, দুধ, মাছ রাখুন। বেশি করে পানি পান করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে ফলে শুষ্কতার মাত্রা কমে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/কেএম/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪)