দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : টম হ্যাংকস অভিনীত ‘কাস্ট অ্যাওয়ে’ সিনেমায় দেখা কাল্পনিক চরিত্র নয়, এবার বাস্তবেই পাওয়া গেল ‘কাস্ট অ্যাওয়ে’র চাক নুল্যান্ডকে।

জোসে সালভাদর আলভারেঞ্জা নামের এক রহস্যময় ব্যক্তি দাবি করছেন, ১৩ মাস সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সমুদ্রে কাটিয়ে জীবন্ত ফিরে এসেছেন তিনি।

কিন্তু ছোট্ট একটি নৌকায় কী করে তিনি এতদিন বেঁচে ছিলেন, কিভাবে পুরো প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিলেন- তা রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। অনেক প্রশ্নেরই কোনো উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়নি এখনও।

গত বৃহস্পতিবার মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের ইবন এটল উপদ্বীপের তীর থেকে মধ্যবয়সী আলভারেঞ্জাকে উদ্ধার করেন দ্বীপের দুই বাসিন্দা।

আলভারেঞ্জা জানান, মূলত নিজ হাতে ধরা মাছ ও কচ্ছপ খেয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। পিপাসা মেটাতে পান করেছেন বৃষ্টির পানি, এমনকি নিজের প্রস্রাবও।

সোমবার মেক্সিকো সরকার তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে। মেক্সিকো সরকার জানায়, তিনি এল সালভেদরের নাগরিক। ১৫ বছর ধরে তিনি মেক্সিকোয় বাস করতেন।

২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূল থেকে ৩৭ বছর বয়সী আলভারেঞ্জা ও তার এক কিশোর সঙ্গী একটি ছোট্ট নৌকো নিয়ে হাঙ্গর ধরার জন্য একদিনের সমুদ্রাভিযানে বের হন।

কিন্তু ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এরপর তারা সমুদ্রে ভেসে ভেসে অজানা গন্তব্যে যেতে থাকেন।

চার সপ্তাহ পর তার কিশোর সঙ্গীটি খাদ্যের অভাবে মারা যায় বলে জানান আলভারেঞ্জার। তবে ওই কিশোরের মৃতদেহটি কী করেছেন তা স্পষ্ট করে বলেননি আলভারেঞ্জা।

আলভারেঞ্জার গল্প সত্যি হলে মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূল থেকে শুরু করে মার্শাল দীপপুঞ্জ পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার এক বিস্ময়কর অভিযান পার করেছেন তিনি। সূত্র : সিএনএন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/কেএন/শাহ/ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪)