এমপি বদিকে দুদকে তলব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ নোটিশ বদির কাছে পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক আহসান আলী এ নোটিশ করেছেন। নোটিশে বদিকে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে এমপি বদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। গত বুধবার কক্সবাজার গিয়ে তার হলফনামা ও আয়কর বিবরণী জব্দ করেছে দুদক। একই সঙ্গে তার স্ত্রী শাহীনা আক্তারের আয়কর বিবরণীও জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার সম্পদ অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবদও সম্পন্ন করা হয়েছে।
বদির হলফনামার তথ্য অনুসারে, জীবনে প্রথম সংসদ সদস্য হওয়ার পর পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি। অভিযোগ রয়েছে, হলফনামায় বদি কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুসারে এমপি বদির বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। তখন (২০০৮) বিভিন্ন ব্যাংকে আবদুর রহমানের মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা। পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৩৭ টাকা। তার হাতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪৮ টাকা। আর এখন ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখন স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৫ টাকা।
আয়কর বিবরণীতে তিনি দেখিয়েছেন সাত কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টাকা। আর নিট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে নয় কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী অনুসারে, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮৮০ টাকা। আর নিট সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার।
১২ জানুয়ারি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে বদিসহ সাত জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪)