দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার মহামারী আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোই মূলত এর ফলে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। 

সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা জানান, এ মহামারী প্রতিরোধ করতে হলে অ্যালকোহল ও চিনির সেবনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি শিগগিরই বিবেচনা করে দেখতে হবে।


ডব্লিউএইচও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিবছরে ২ কোটি ৪০ লাখে গিয়ে পৌঁছবে। তবে এখনই সচেতন হলে এর অর্ধেক প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানান তারা।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ১ কোটি ৪০ লাখ ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ডব্লিউএইচও বলেছে, এখন থেকেই ধূমপান, স্থূলতা ও মদপানের মতো বিষয়গুলো প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে ক্যান্সার মহামারী ঠেকানোর প্রস্তুতি শুরু করা দরকার।

এ ব্যাপারে ডব্লিউএইচও’র অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের পরিচালক ড. ক্রিস ওয়াইল্ড বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার রোগে চিকিৎসার ব্যয়ভারও লক্ষণীয় হারে বাড়ছে। এমনকি বিশ্বের ধনী দেশগুলোতেও ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি ও জনসংখ্যার উর্ধগতিই এর কারণ। তাই আগে থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায়।’

তবে ক্যান্সারের বিষয়টা এখন পর্যন্ত অবহেলিতই রয়ে গেছে বলে জানান তিনি। সূত্র: বিবিসি

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/সা/ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪)