লতিফ বিশ্বাসের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ দুদকে
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়েছে।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সোমবার সাবেক এ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। কমিশনের চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান অভিযোগটি পরীক্ষার জন্য বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-এর মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম এইচ সালাহউদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশন সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে তার নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন অধিদফতর, শাখা ও প্রকল্পে নিয়োগ, বদলি এবং টেন্ডার নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন তিনি। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, মৎস্য অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দফতরের কিছু কর্মকর্তা মন্ত্রীর সঙ্গে যোগসাজশে দুর্নীতি চালিয়েছেন।
সূত্র জানায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে আইলাদুর্গত এলাকায় গবাদি পশুর পুনর্বাসনের নামে টেন্ডার ছাড়া চার কোটি টাকার গোখাদ্য কেনায় দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ১৪টি প্রকল্পেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকেও মোটা অঙ্কের কমিশন-বাণিজ্য হয় লতিফ বিশ্বাসের নামে। এলটিএমের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকার মালামাল ক্রয় দেখিয়ে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস রাজধানীর তুরাগের তাফালিয়া এলাকায় নিজ জমির ওপর তৈরি করছেন সাত তলা ভবন। গাজীপুরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আশানুর বিশ্বাসের নামে জমি রয়েছে। এ ছাড়া নামে-বেনামে তার নিজ এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এ বিষয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী থাকাকালীন আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা হলে এর কোনো সত্যতা পাওয়া যাবে না। আমি সাততলা বাড়ি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নির্মাণ করেছি। যার অর্থ এখনও আমাকে পরিশোধ করতে হচ্ছে।’
নবম সংসদ নির্বাচনে প্রদেয় হলফনামা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার আমি নির্বাচন করিনি। এর আগের বারের হলফনামায় কিছু তথ্যের গরমিল থাকতে পারে। কারণ আমাকে আইনজীবী যা বলেছে আমি সে অনুসারে হলফনামা প্রস্তুত করেছি।’
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমএআর/এইচএসএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪)