দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শফিক হাসান মূলত রম্য লেখক। রম্যরচনার পাশাপাশি সম্পাদনা করেন ‘প্রকাশ’ নামের একটি লিটলম্যাগ। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে লিটলম্যাগের সংকট ও সম্ভাবনার কথা বলেছেন।

কেন লিটলম্যাগ চর্চা করেন?

অনেক কথা বলার থাকে, অনেক কথা জানানোর থাকে, মিডিয়া এ ক্ষেত্রে সহায়ক নয়। না বলা কথাগুলো নতুন নতুন ভাবনায় প্রকাশ করার জন্যই মূলত লিটলম্যাগ চর্চা করি।

সাহিত্য সাময়িকী আর লিটলম্যাগ-এর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কোথায়?

সাহিত্য সাময়িকী তার গ্রুপ তথা মালিক পক্ষের কাছে দায়বদ্ধ। অনেক কিছু্ই সাময়িকী করে না বা করতে পারেন না। সেখানে লিটলম্যাগ ‍উদার জমিন। এখানে হাত খুলে লেখা যায়। নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যার সীমাবদ্ধতা নেই বলে প্রয়োজনীয় ভাবনাগুলো পাঠকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

লিটলম্যাগের প্রুতিশ্রুতির কথা বলুন

লিটলম্যাগ মূলত তরুণ লেখকদের জন্য। তরুণদের লেখালেখির মূল স্রোতে আনার প্রাথমিক দায় লিটলম্যাগের। লিটলম্যাগ সম্পাদক মূলত তার সময়ের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মেলায় ‘প্রকাশ’ আসবে কবে?

অর্থাভাবে এবারের মেলায় আমার সম্পাদিত প্রকাশ হয়ত আসবে না।

মেলায় লিটলম্যাগের অবস্থানের আলোকে উপলব্ধির কথা বলুন।

লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ বরাবরই অবহেলিত। অবহেলিত এ অর্থে যে,এখানে সবশ্রেণীর পাঠকের সমাগম খুব একটা হয় না। এখন পর্যন্ত লিটলম্যাগের পাঠক এবং দর্শক বলতে লিটলম্যাগের সঙ্গে সম্পৃক্তরাই। দেশের শিল্পসাহিত্যের মান উন্নয়নের জন্য লিটলম্যাগ সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন সকলের। আর এ কাজটি মিডিয়া করতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাকে

আপনাকেও ধন্যবাদ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪)