আরো ২০০ রানের লক্ষ্য চান্দিমালের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে : স্কোর লাইন ৩১৪/৫। হাতে ৫ উইকেট। অপরাজিত ২ ব্যাটসম্যানের মধ্যে যে কেউই পারে স্কোর লাইনকে পাহাড় সমান গড়ে তুলতে। একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কুমারা সাঙ্গাকারা আরেকজন গত ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান কিথুরুয়ান ভিথানাগে। ২ জনই অপরাজিত আছেন। ৩১৪ রান করে বুধবার সকালে আরো ২০০ রান যোগ করার ইচ্ছা দীনেশ চান্দিমালের। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধি হিসাবে এসেছিলেন লঙ্কান উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান দীনেশ চান্দিমাল। এসেই দুষেছেন উইকেটকে। তিনি বলেছেনন, ‘এ উইকেটে ব্যাট করা এতোট সহজ নয়। স্লো উইকেট। সহজেই বল ব্যাটে আসছিল না। যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন চিন্তায় ছিল সারাদিন ব্যাটিং করবো। কিন্তু হয়নি। সাঙ্গাকারা সেই কাজটা করেছে। আমাদের স্কোর ৩১৪/৫। আমাদেরকে আগামীকাল (বুধবার) দ্রুত রান করতে হবে। তাহলে আমার একটা ভালো স্কোর গড়তে পারবো।’
নিজের আউট সম্পর্কে দীনেশ সহজ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যাক্তিগত ভাবে হতাশ। আমি যে শর্টটায় আউট হলাম; শটটা খেলা উচিত হয়নি। ম্যাথুসও আউট হয়ে গেছে। কিন্ত আমাদের ব্যাটিং লাইন আপে এখনো কিথুরুয়ান, দিলরুয়ান আছে। আশা করছি তারা আগামীকালের স্কোরবোর্ডে বেশ কিছু রান যোগ করবে।’
মাহেলা-সাঙ্গাকারর এমন ব্যাটিং দেখে আপনার অনুপ্রাণিত হন কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে চান্দিমাল বলেছেন, ‘মাহেলা ও সাঙ্গাকারা অনেক বছর ধরে দলের হয়ে পারফর্ম করছে। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করেন তারা। অনুশীলনেই বলুন আর অন্যকোথাও বলুন তাদের গল্প এ ক্রিকেট নিয়েই।’
হাতে এখনো ৫ উইকেট। দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং নিয়ে দলের পরিকল্পনা কি- জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘এটা বলা কঠিন। আশা করছি স্কোরবোর্ডে আরও ২০০-৩০০ রান যোগ করতে পারলে আমরা নিরাপদে থাকবো।’
উইকেটের আচরণ নিয়ে তনি বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটেও আমরা একরকম উইকেটে খেলি। বিশেষ করে আমাদের দেশেও এরকম আবহাওয়া থাকে। অভ্যাস আছে এরকম উইকেটে ব্যাটিং করার।’
বাংলাদেশের এক সিমার নিয়ে খেলাটা আপনাদের বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, ‘আমার সবাই বিস্মিত হয়েছি। স্বাভাবিক ভাবেই টেস্ট ক্রিকেটে একজন সিমার নিয়ে খেলতে দেখিনি। প্রত্যেকটি দলই অন্তত দুজন সিমার নিয়ে খেলেন। আমারদের দলেরও আছে। আর এই সুযোগও মাঝে মাঝে কাজে লাগে।’
(দ্য রিপোর্ট/আরআই/ওআইসি/ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪)