ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সড়কে মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে আহত করে।

এদিকে, মঙ্গলবার সকালে হরতাল সমর্থকরা ৪টি যানবাহন ভাংচুর করে। এ ছাড়া জেলা সদরের সঙ্গে যুক্ত আঞ্চলিক সড়কগুলোতেও পিকেটিং করে তারা। হরতালে দোকানপাট ও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী ও ফুলগাজী থেকে ৭-৮টি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে চড়ে বেশকিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগকর্মী পরশুরাম উপজেলা সদরে মহড়া দেয়। এ সময় তারা পৌরসভার গুথুমা চৌমুহনী এলাকায় পরশুরাম পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলামকে (৫৫) এলোপাতাড়ি কোপানোর পর তার ডান ও বাম পায়ের রগ কেটে দেয়। তাকে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার অবস্থা আরও খারাপ হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ ঘটনার পর পরশুরামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার পরপরই ফেনী জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পরশুরামে ছাত্রলীগ-যুবলীগকর্মীদের সশস্ত্র মহড়া, সন্ত্রাসী হামলা ও বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার পরশুরাম উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংগঠিত সংঘর্ষে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু তালেব এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলমগীর হোসেন মজুমদার আহত হন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে ভাংচুর চালানো হয়। সংঘর্ষে বিএনপি-আওয়ামী লীগকর্মী ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও কার্যালয় ভাংচুরের প্রতিবাদে ফেনী জেলা বিএনপি মঙ্গলবার পরশুরাম উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে।

পরশুরাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কাশেম জানান, সোমবারের সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দায়ের করা তিনটিসহ মোট ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সোমবার রাতেই এক ছাত্রদলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচআর/এসকে/এএল/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)