গজারিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে নিখোঁজ পুলিশের মৃতদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে পুলিশ ও ডাকাতের বন্দুকযুদ্ধে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল আবদুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মেঘনা ব্রিজ সংলগ্ন নদী থেকে বুধবার সকাল সোয়া দশটায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে মেঘনা সেতুর নিচে টহলরত পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের বন্দুকযুদ্ধে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন আবদুল মালেক। এ সময় আরো তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, মঙ্গলবার রাতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নিখোঁজ কনস্টেবল আব্দুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বুধবার সকালে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুর-অর রশীদ দ্য রিপোর্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে নদীতে টহলরত পুলিশ মেঘনা সেতুর নিচে একটি রডভর্তি ট্রলারকে চ্যালেঞ্জ করে। তখন ট্রলার থেকে একদল ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ঘটনার একপর্যায়ে ডাকাতরা রডভর্তি ট্রলারটি ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ তখন রডসহ ট্রলার ও ট্রলারে থাকা বেশকিছু দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, এ সময় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। বর্তমানে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় সময় মো. মালেক নামে এক পুলিশ কনস্টেবল পানিতে পড়ে যান। তাকে উদ্ধারের জন্য নদীতে ডুবুরি নামানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই প্রদীপ কুমার, কনস্টেবল মো. শামিম ও কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম।
(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এমএইচও/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)