সাবেক এমপি শাহজাহানের জমি দখলের অভিযোগের নথি তলব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৮ হাজার একর জমি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ লক্ষ্যে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয় থেকে বুধবার শাহজাহানের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে এ সংক্রান্ত সকল নথিপত্র তলব করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় এসব নথিপত্র তলব করেছেন। নোটিশে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সকল কাগজপত্র দুদকে সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যতন কুমার রায় দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে আনীত এ অভিযোগ অনেক আগের। এর আগে দুদক এ বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বছরের ডিসেম্বরে অনুসন্ধান কমিটি পর্নগঠন করা হয়। পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করায় অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রথমে সকল নথিপত্র তলব করে নোটিশ করা হয়েছে। নথিগুলো হাতে পেলে তা পর্যালোচনা করা হবে। পরবর্তী সময়ে মো. শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে।’
দুদকের চাহিদা অনুসারে নোটিশে ২০০২ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৩১ মে মাস পর্যন্ত নোয়াখালী জেলা চিংড়িসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। ২০০২ সালের ২১ নভেম্বরের জে প্র/নোয়া/চিংড়ি/এস এ/১৩-৩০/০০২/১৮৯৮ নাম্বার স্মারক এবং ২০০৪ সালের ১২ জানুয়ারির জে প্র/নোয়া/এস এ/৯-৩৭/০৩-৩৬ নাম্বার স্মারক ও সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। ২০০৩ সালের ৬ মের ভূমি মন্ত্রণালয়ের খাজব/৬০০/২০০২/৩২০ নাম্বার স্মারক এবং ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সময় পর্যন্ত সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার রেজুলেশন সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের ২০০৪ সালের ১২ মের স্মারক নাম্বার জে প্র/নোয়া/এসএ/১৩-৩০/২০০৪-৬৪৩, ৬৪৬, ৬৪৫, ৬৪২ ও ৬৪৪ নাম্বার স্মারকসহ ঘটনাকালীন সময়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান চারদলীয় জোট সরকারের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাবশালীদের স্বার্থে চিংড়ি মহাল হিসেবে ১৮ হাজার ৬৫৭ দশমিক ১৫ একর জমি অবৈধভাবে দখল করেন। ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দুদকে আসলে কমিশন তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের সহকারী পরিচালক শফিউল আমলকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সময় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান শেষে প্রতিবেদন দাখিল করলেও তা কমিশন অনুমোদন করেনি। পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বর্তমান কমিশন বিষয়টি পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে কমিশন। দুদকের পরিচালক মো. আবু তোরাবের নেতৃত্বে এ টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় ও সহকারী পরিচালক শফিউল আলম।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমসি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)