দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর সংশোধিত আইন ২০১৩-এর ২৮(গ) ধারা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেয়।

বিবাদী আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে রবিবার দুদক আইনের ২৮(গ) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং সংশোধিত আইনের এ ধারাটি বাতিলের জন্য রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দ।

রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী ড. আকন্দ বলেন, ‘কমিশন বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা সাধারণ নাগরিক যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে আইনের ২৮(গ) ধারার (২)-এর ১ উপধারায় তারা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। এ জন্য কমপক্ষে দুই বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সশ্রম কারারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এই ধারার ফলে মামলা দায়েরকারী কর্মকর্তা এবং অভিযোগকারী অভিযোগ করতে আগ্রহ হারাবেন।’

তিনি জানান, এই আইন ব্যবহার করে অভিযোগকারীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা তথ্যদাতা প্রতিপন্ন করে ফাঁসানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। ২০০৪ সালের আইনে সুস্পষ্টভাবে কমিশনের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের ২০(১) ধারায় বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীনে অপরাধ কমিশন কর্তৃক তদন্তযোগ্য হবে। দুদক আইনের ২৪ ধারায় দায়িত্ব পালনে কমিশনকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জানুয়ারি দুদক আইনের ৩২(ক) উপধারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

গত ১১ নভেম্বর ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) বিল-২০১৩’ সংসদে পাস হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এসএ/এমসি/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)