খুলনার বাজারে ভারতের চাল
খুলনা ব্যুরো : মহানগরীর বাজারে আমনের ভরা মৌসুমে চলছে চালের সঙ্কট। এ অবস্থা চলছে গত এক সপ্তাহ ধরে। চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। নগরীর ২৬টি বাজার দখল করেছে ভারতীয় চাল। প্রকারভেদে চালের মূল্য বেড়েছে কেজিপ্রতি গড়ে দুই টাকা।
নগরীর বড়বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী এনসিডি বাণিজ্য ভাণ্ডারের ব্যবস্থাপক মধুসূদন দাস জানান, মিনিকেট, আঠাশ বালাম ও বাংলা মতি জাতের চালের সঙ্কট চলছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, জানুয়ারির শেষদিকে উল্লেখিত তিন জাতের চালের মূল্য বেড়েছে। মিনিকেট প্রতিকেজি ৪৫-৪৬ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা, আঠাশ বালাম ৩৫-৩৬ টাকার পরিবর্তে ৪০-৪৩ টাকা এবং বাংলা মতি ৪৬ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভাইটেল ৪৩ টাকা ও ইরি আতপের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি আরও জানান, উত্তরবঙ্গ ও যশোর থেকে উল্লেখিত তিন জাতের চালের জোগান কম হওয়ায় সঙ্কট বেড়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা জাতের চাল নগরীর বাজার দখল করেছে। ২৪ জানুয়ারি প্রতিকেজি স্বর্ণা চাল ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শনিবার ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হয়।
বড়বাজারের অপর চাল ব্যবসায়ী এস আহম্মেদ ট্রেডার্সের মালিক মাসুদ আহম্মেদ বাবলু জানান, প্রতিদিন পাইকারি বাজারে পাঁচ গাড়ি ভারতীয় চাল আসছে। হাজী আব্দুল খালাসী অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপক জানান, আমদানি করা চাল খুলনার বাজার থেকে বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ ও মংলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
দীঘলিয়া উপজেলার মুমিনপুর বাজারের মেহেদী স্টোরের মালিক চাল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিকেজি আমদানি করা স্বর্ণা চাল ৩৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানকার বাজারে আমদানি করা চালের চাহিদা বেশি।
নগরীর শিরোমনি বাজারের চাল ব্যবসায়ী গাজী মনির হোসেন জানান, আমদানি করা প্রতিকেজি চালের খুচরা মূল্য ৩৩ টাকা। তার দেওয়া তথ্যমতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আঠাশ বালাম জাতের চাল ৩৬ টাকার পরিবর্তে ৩৯ টাকা এবং বাংলা মতি নামের চাল ৪৬ টাকার পরিবর্তে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানিকারক মাহবুব ব্রাদার্সের প্রতিনিধি নিখিল সাহা জানান, নগরীর বাজার ভারতীয় চালের ওপর নির্ভরশীল। আমদানি করা চাল এখান থেকে ফরিদপুর, যশোর ও গোপালগঞ্জে পাঠানো হচ্ছে। আমদানি করা চালের শনিবারের পাইকারি মূল্য ছিল ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। এ প্রতিষ্ঠান ভারতের কলকাতা থেকে ইতোমধ্যে পাঁচশতাধিক মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছে। সেখানে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৩৭৮ ডলার।
(দ্য রিপোর্ট/এটি/এমএআর/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)