ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : রাজধানীর বনানীর একটি অফিসে বুধবার সকালে নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সঙ্গে কথা হয়। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি নাটক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কিছু বলুন।

রামেন্দু মজুমদার : অফিস আর আইটিআই নিয়েই ব্যস্ত আছি। আইটিআই-এর সভাপতি হিসেবে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়েছিলাম। ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি ছিল ‘আরব থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল’। ১৯ থেকে ২৮ জানুয়ারি ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল মনোড্রামা ফেস্টিভ্যাল’।

দ্য রিপোর্ট : সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাটক প্রসঙ্গে কিছু বলুন।

রামেন্দু মজুমদার : আগে ছিল না; কিন্তু এখন তারা নাটকের উপর জোর দিচ্ছে। বাইরের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছে। কিন্তু সেখানে নাটকের নিয়মিত চর্চা হয় না। আর দর্শকও তেমন নেই। যদিও অনেক অর্থ ব্যয় করছে। এ ছাড়া সেখানে এক সময় নাটক করা নিষিদ্ধ ছিল। তা থেকে ওরা বেরিয়ে এসেছে। হয়তো এ কারণেই কিছুটা পিছিয়ে আছে।

দ্য রিপোর্ট : এ দিক থেকে আমরা এগিয়ে?

রামেন্দু মজুমদার : অবশ্যই। অনেক এগিয়ে আছি আমরা।

দ্য রিপোর্ট : ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের (আইটিআই) এ বছরের পরিকল্পনা কী?

রামেন্দু মজুমদার : কর্মশালা তো চলতেই থাকবে। এ বছরের নভেম্বরে আর্মেনিয়ায় আইটিআই-এর পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব থিয়েটার’ বইটি প্রকাশ করা হবে। দুই বছর পর পর বইটি বের হয়। তার কাজ চলছে।

দ্য রিপোর্ট : এ বছর উৎসব করবেন কখন?

রামেন্দু মজুমদার : এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আরব-বাংলাদেশ থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল করার ইচ্ছা আছে। আরবের নাটক নিয়ে আমাদের ধারণা খুব কম। সেই ধারণা বাড়াতেই এই আয়োজন। আমরা দেখাতে চাই আরব দেশগুলোতেও নাটক হয়, তারাও সংস্কৃতিচর্চা করে।

দ্য রিপোর্ট : মঞ্চনাটকের ক্ষেত্রে অর্থ অনেক বড় ব্যাপার। এ ব্যাপারে কিছু কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। তারপরও কোথায় যেন ঘাটতি রয়ে গেছে।

রামেন্দু মজুমদার : আসলে প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বলে একটি ক্ষেত্র আছে। ওরা অনেক জায়গায় ইনভেস্ট করে। বিশেষ করে খেলায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু সংস্কৃতির ক্ষেত্রে গুরুত্ব কম।

দ্য রিপোর্ট : নিজের দল ‘থিয়েটার’-এর কথা বলুন।

রামেন্দু মজুমদার : দল ‘কুহক জাল’ নামে নতুন একটি নাটক আনছে। মাসুম রেজার রচনা ও ত্রপা মজুমদারের নির্দেশনায় নাটকটির মহড়া চলছে। মঞ্চস্থ হতে আরও দু-এক মাস সময় লাগবে। আমি ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি।

দ্য রিপোর্ট : নতুন যারা মিডিয়ায় কাজ করছেন তাদের অনেকেই বলেন, মঞ্চে সময় দিতে পারি না। ওদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

রামেন্দু মজুমদার : নাটকের জন্য ভালোবাসা থাকলে সময় বের করে নিতে হয়।

দ্য রিপোর্ট : আপনি বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে জড়িত। নীতিমালার কতদূর?

রামেন্দু মজুমদার : সরকার তো সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া করেছে। তাতে বিজ্ঞাপন সম্পর্কিত একটি বড় অধ্যায় আছে। অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে সভায় বসে আমরা এই নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করব।

দ্য রিপোর্ট : সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান নূর। এবার সংস্কৃতি নিয়ে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?

রামেন্দু মজুমদার : অবশ্যই। আমরা আশায় বুক বাঁধছি। সব জায়গায় ছোট ছোট থিয়েটার করার ব্যাপারেও তার সঙ্গে কথা হচ্ছে। আর মন্ত্রীর সঙ্গে ১১ ফেব্রুয়ারি সকল সংস্কৃতিকর্মীদের প্রীতি সম্মিলনী হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। আমরা চাই সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বাজেট বাড়ানো হোক। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এমসি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)