চাঁদপুরে ঘরের আগুনে পুড়ছে বিএনপি
চাঁদপুর সংবাদদাতা : উপজেলা নির্বাচনে জেলায় একক প্রার্থী নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে জেলা বিএনপি। শেষ পর্যন্ত সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় দলটি এখন ঘরের আগুনেই পুড়ছে।
মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে চাঁদপুরের পাঁচটি উপজেলায় বিএনপির ৩২ জন প্রার্থিতা দাখিল করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন রয়েছেন।
চাঁদপুরে সবকটি উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে সাবেক আহবায়ক সফিউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে সমঝোতার চেষ্টা চালায় জেলা বিএনপি।
দলের বিবাদমান দু-গ্রুপের নয়জন করে ১৮ সদস্যকে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। দীর্ঘ বৈঠকের পরও কোনও সমঝোতায় পৌঁছতে না পারায় উপজেলাগুলোতে বিএনপির একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেনি। এতে একাধিক প্রার্থী নিয়ে চরম বেকায়দায় দলটি।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমত, দলীয় সকল বিভেদ ভুলে দলের একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে না পারলে চরম মূল্য দিতে হবে বিএনপিকে। তাদের দাবি, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরালো করতে একক প্রার্থী দিয়ে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
জেলার শীর্ষ নেতাদেরকেই এ দায়িত্ব নিতে হবে বলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন। অন্যথায় নিজেদের বিবাদের সুযোগে ফায়দা নিতে পারে প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীনরা।
গত উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সমঝোতায় একক প্রার্থী দিলেও বিজয় নিশ্চিত করতে পারেনি বিএনপি। তখন দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন ছিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে না থাকা এবং যোগ্য প্রার্থীর সঙ্কটেই তাদের সেই পরাজয়।
বর্তমানে মাঠের রাজনীতি তাদের অনুকূলে থাকলেও একাধিক প্রার্থীর চাপে বেকায়দায় রয়েছে বিএনপি। শেষ পর্যন্ত মাঠে বিএনপির একক প্রার্থী নিশ্চিত হবে কিনা তা সময়ই বলে দিবে। এমনটিই অভিমত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী মমিনুল হক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যে কেউই প্রার্থী হতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত কেন্দ্র থেকে কোনও সিদ্ধান্ত পাইনি। সিদ্ধান্ত পেলে সমঝোতার মাধ্যমে একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/এমবি/ইইউ/এমএআর/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪)