‘ছেলেমেয়ের রুচির মূল্যায়ন করি’
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্থ দিন মঙ্গলবার সপরিবারে মেলায় এসেছিলেন রাজধানীর উত্তরাবাসী আনিসুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ বিমানের নিরাপত্তা বিভাগে কাজ করেন। কথা প্রসঙ্গে আনিসুর রহমান বলেন, সপ্তাহের একটি দিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে কাটায়। ফেব্রুয়ারির মাসের ছুটির দিনগুলো বইমেলাতেই কাটায়।
তিনি বলেন, ছেলেমেয়েদের মানসিক বিকাশের জন্য প্রতিভাবিকাশের নানা স্তরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া জরুরি। একজন বাবা হিসেবে এটা মনে করি। আর তাদের রুচির মূল্যায়নও করি। সে হিসেবে এ মেলার যে একটা ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে তা অন্তত আমার ১১ বছরের মেয়েটাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।’
-কী পরিকল্পনা নিয়ে এসছিলেন? এমন প্রশ্নে জবাবে আনিসুর রহমান বলেন, ‘অন্য কোনো স্থানে যাবার আগে যে পরিকল্পনা নিয়ে বের হই, এখানে আসলে সেটা করি না। ওদের চাহিদা অনুযায়ী ওরা যে ধরনের বই প্রত্যাশা করে তা কিনে দেই। ওদের আনন্দ মানেই তো আমার আনন্দ নাকি!’
মেলার পরিবেশ সম্পর্কে আনিসুর রহমান বলেন, ‘এবারের মেলা বেশ গোছানো, ধূলাবালির উপদ্রবও তেমন নেই। একটা স্বাস্থসম্মত পরিবেশে মেলা পরিচালিত হচ্ছে-এটা খুবই ইতিবাচক’।
মিসেস আনিস বেশ আগ্রহ নিয়ে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘উত্তরায় থাকি, পুরো সময়টা যাতে করে মেলায় কাটাতে পারি যানজটের কথা বিবেচনা করে সকালেই এসে হাজির হয়েছি। ৪ ঘণ্টা পর মেলায় প্রবেশ করলাম। খুব ভালো লাগছে বাচ্চাদের মুখে হাসি দেখে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এইচএসএম/ফেব্র্রুয়ারি ০৫, ২০১৪)