দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কাদের মোল্লার রায় কার্যকরসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপের ফলে বহির্বিশ্বে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বুধবার সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।

শাহরিয়ার আলম জানান, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর ২০১৩ সালে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনার আফ্রাসিয়াব মেহেদি হাশমিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, যুদ্ধাপরাধের বিষয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ এবং অযাচিত গৃহীত প্রস্তাব বাংলাদেশ অভ্যস্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল যা উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। এছাড়া এ বিষয়ে একটি এইড মেমোয়ার পাকিস্তান হাইকমিশনারের নিকট পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশী দূতাবাসে ব্রিফিং নোট পাঠানো হয়েছে, যাতে বহির্বিশ্বে এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

ব্রিফিং নোটে বলা হয়েছে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ ও মানবতাবিরোধী সুনির্দিষ্ট অপরাধসমূহের কারণেই দেওয়া হয়েছে। তার রাজনৈতিক পরিচয় বা কোন রাজনৈতিক কারণে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি।

ন্যায়বিচারের সর্বোচ্চ মান ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে এবং ন্যায়বিচারের সকল পন্থা যথাযথভাবে সম্পন্ন করেই এই দণ্ড প্রদান ও কার্যকর করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ-এইচআর/জেএম/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪)