শেষ মিনিটে বিজেএমসির স্বস্তি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগে ইসমাইল বাঙ্গুরার গোল, এ গোলেই চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে টিম বিজেএমসি। বুধবার নিটল-টাটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে দিনের অপর ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ফেনী সকার ক্লাব।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম খেলায় ৩০ মিনিটে আগবুলুর গোলে প্রথমে এগিয়ে ছিল মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় বক্সের মধ্যে জটলা থেকে শট নিয়েছেন এনকোচা কিংসলে। তার শট গোলরক্ষক নেহাল ফিস্ট করে ফিরে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আগবুলুর পিঠে লেগে বল জালে আশ্রয় নিয়েছে (১-০)। ৩৭ মিনিটে আকবর হোসেন রিদনের গোলে সমতায় ফিরেছে ঢাকার বাইরের দলটি। আলীর কর্নার থেকে রিদনের ব্যাকভলি মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক লিটনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়েছে (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা না পেলে শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছেড়েছে ২ দল।
ম্যাচ শেষে রেফারিকে দুষেছেন মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। তিনি বলেছেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমার খেলোয়াড়রা সুযোগ নষ্ট করেছে। রেফারি বার বার ইচ্ছে করে বাঁশি বাজিয়ে খেলা থামিয়েছেন, এতে খেলার রিদম নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া দলের ৫ খেলোয়াড় ইনজুরি ও কার্ডজনিত কারণে ম্যাচে খেলেনি। এতে দলের শক্তি হ্রাস পেয়েছে।’
অন্যদিকে সকারের গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসে বলেছেন, ‘এ ফলাফলে সন্তুষ্ট নই। কেননা রেফারিং ছিল নিম্নমানের। তারপরও এক পয়েন্ট পেয়েছি, যা কাজে লাগবে। নেগেটিভ ফুটবল সবাই খেলে। শুধু আমরা খেললেই দোষ? পয়েন্ট টেবিলে আমরা প্রায় তলানিতে। তারপরও আশা করি ভাল অবস্থানে যাব, কারণ এখনও অনেক ম্যাচ বাকি।’
পরের ম্যাচে শুরু থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীকে চাপের মুখে রেখেছে বিজেএমসি। তবে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়েও গোলের দেখা পায়নি কোন দল। অতিরিক্ত সময়ে শেষ মিনিটে গোল করে বিজেএমসিকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। বক্সের বাইরে থেকে আবদুল্লাহ পারভেজের ফ্রি-কিকে ফ্লাইট মিস করেছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক নাহিদ উদ্দিন। সুযোগ হাত ছাড়া করেননি ইসমাইল বাঙ্গুরা। ওপেন নেটে মাথা ছুঁইয়ে জালে বল পাঠিয়েছেন তিনি (১-০)।
ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন বিজেএমসির সহকারী কোচ আলী আকবর নাসির। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা ভাল খেলেছে। মার্কিং করে খেলায় গোল পেতে কষ্ট হয়েছে আমাদের। বদলি খেলোয়াড় আবদুল্লাহ পারভেজ ছিল আমাদের তুরুপের তাস। তার ফ্রিকিক থেকেই আমরা গোল পেয়েছি।’
অন্যদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক কোচ আবু তাহেদ নিদ্দিক বলেছেন, ‘২ অর্ধেই আমরা একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। ওরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। তাই ফলটাও ওদের পক্ষেই ছিল।’
(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/সিজি/এনআই/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)