শাহজালালে যাত্রী হয়রানি বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানির বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোয়েন্দা সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগ থেকে সদস্য নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ওই কমিটি যাত্রী হয়রানির কারণ চিহ্নিত করে সমাধানের দিকনির্দেশনা দেবে। দেশী-বিদেশী যাত্রীর সুবিধার লক্ষেই আইন পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে কর্মরত অসাধু কিছু কর্মকর্তার আচরণে যাত্রীরা বিব্রত। প্রবাসী বাঙালি, বিদেশে কর্মরত বৈধ শ্রমিকরাও প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। স্বল্পশিক্ষিত যাত্রীদের নানা প্রশ্ন করে তাদের পাসপোর্ট আটকে রেখে টাকা আদায় করার ঘটনা হরহামেশা ঘটছে। হয়রানি থেকে রক্ষা পাচ্ছে না বিদেশী যাত্রীরাও।
এ বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বিভাগীয় বৈঠকে আলোচনা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সভাপতি করে একাধিক দফায় বৈঠক সম্পন্ন করা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে বৈঠকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকারি একাধিক গোয়েন্দা ও দায়িত্বে থাকা সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঠিকাদার ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা প্রভাবশালী চক্রের হয়রানির চিত্র নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় ফিলিপাইন, ইটালি ও থাইল্যান্ডের অন্তত ৭ জন যাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ বিষয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ(এসবি) থেকে দিকনির্দেশামূলক সুপারিশ প্রতিবেদন দিয়েছেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতিদিন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুট মিলিয়ে ৭৫-৮০টি বিমান ওঠানামা করে, গমনাগমন করে থাকে দেশী-বিদেশী ১৪-১৫ হাজার যাত্রী। এসব যাত্রীর জন্য আরও কয়েক হাজার দর্শনার্থী বিমানবন্দরে যাতায়াত করে। যাত্রী ও দর্শনার্থীদের টার্গেট করেই হয়রানি বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়া সচল থাকে সেখানে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দ্য রিপোর্টকে জানান, যাত্রী হয়রানির বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ছাড়া এ বিষয়ে নজরদারি করা নিয়মিত কাজ। যেহেতু হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেজেএন/জেএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৪)