সংসদ প্রতিবেদক, দ্য রিপোর্ট : এক সময় দিন-রাত কাটতো জাতীয় সংসদে। তখন ছিলেন সংসদের অভিভাবক। দায়িত্ব ও কর্তব্যের কারণেই এখন নক্ষত্রের মতো দূরত্বে তার বাস। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতে হয়। তাই চাইলেও সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আগের মতো সেই ঘনিষ্ঠ আড্ডা দেওয়া হয়ে ওঠে না। শুধু সংসদ নয়, তিনি এখন রাষ্ট্রের অভিভাবক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি। পুরো রাষ্ট্রের দায়িত্ব তার কাঁধে। দায়িত্ব বাড়লেও মানুষ হিসেবে বদলাননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আগের মতোই বন্ধুবৎসল। হাসি-খুশি আর আঞ্চলিকতায় ভরা বাক্যে আগের মতই হৃদয়গ্রাহী এক ব্যক্তিত্ব। আবারও তার পরিচয় দিলেন রাষ্ট্রের অভিভাবক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে আকস্মিকভাবেই হাজির হন জাতীয় সংসদের চিরচেনা সাংবাদিক লাউঞ্জে। আড্ডা ও আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন সাংবাদিকদের এক সময়কার প্রিয় ‘হামিদ ভাই’।

সংসদের খবর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সাংবাদিকদের কর্মযজ্ঞ দেখেন রাষ্ট্রপতি। প্রত্যেকের হাতে হাত মিলিয়ে ‘পুরনো সেই দিনের কথা’ মনে করিয়ে দেন। জানালেন, ‘সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়?’ সাংবাদিকদের সঙ্গে পুরনো সেই আড্ডার কথা মনে করিয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি নিজেই। কেমন আছেন সাংবাদিকরা তাও জানতে চান রাষ্ট্রপতি। সংসদ বিটের সিনিয়র প্রতিবেদক অসুস্থ নাজনীন আক্তারের শারীরিক খোঁজখবর নেন। এভাবেই কাটে পাঁচ মিনিট।

গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এক সময়কার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার আবদুল হামিদ। টানা সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সংসদের সঙ্গে তাই তার সম্পর্ক দীর্ঘ ৪৩ বছরের। সেই সম্পর্কের টানে আবারও ফিরে এলেন সংসদের সংবাদকর্মীদের মাঝে।

এর আগে গত বছর ৬ জুন নবম জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা চলাকালে তিনি এসেছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ-এইচআর/জেএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪)