দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক রয়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজার।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সোমবার সকালে ঘুরে দেখা গেছে, চাল ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া কোনো কোনো বাজারে ডিমের দাম কমেছে বলে জানা গেছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা জানান, জিনিসপত্রের দাম আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। হরতালের দ্বিতীয় দিন থেকে কাঁচাবাজারে হরতালের প্রভাব পড়তে পারে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে- ডাল, সয়াবিন, মসলা ও গুঁড়ো দুধের দাম আগের মতোই আছে। চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জাফর জানান, খুচরা দামে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এর আগে যা ৪৮ টাকায় বিক্রি হতো। এ ছাড়া নাজিরশাইল প্রতিকেজি ৫০ টাকা। এর আগে তা বিক্রি হতো প্রতিকেজি ৪৫ টাকা।

মাংসের মধ্যে বাজারভেদে গরু ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মুরগি দেশি ২০০ থেকে ২২০ ও ব্রয়লার ১৩০ এবং খাসির মাংস প্রতিকেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সবজির মধ্যে আলু প্রতিকেজি ২০ টাকা, বেগুন ৬০, কাঁচামরিচ ১০০, দেশি টমেটো ১২০ থেকে ১৫০, শিম ৭০ থেকে ৮০ ও শসা প্রতিকেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, হরতালের কারণে দামের উপর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। গত ঈদের পর বিভিন্ন পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি।

কাঁঠালবাগান বাজারের কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল জানান, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১১০ টাকা, হরতালের আগে যা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হতো। এ ছাড়া কোনো জিনিসের দাম খুব একটা বাড়েনি।

তিনি আরও জানান, হরতালের দ্বিতীয় দিন থেকে কাঁচাবাজারে এর প্রভাব পড়তে পারে।

হাতিরপুল বাজারে ধানমন্ডি থেকে বাজার করতে আসা কামরুল হাসান বলেন, হরতালের কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে মাছের দাম অনেক বেশি। প্রতিকেজি মাছে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে বলেও জানান ওই ক্রেতা।

কারওয়ানবাজারে পান্থপথ থেকে বাজার করতে আসা মোহাম্মদ মাসুদ জানান, হরতালের কারণে বিভিন্ন জিনিসের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪/এইচএস/এএস/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)