যশোর অফিস : যশোরে যান্ত্রিক ক্রটির কারণে বিমানবাহিনীর একটি পিটি-৬ প্রশিক্ষণ বিমান ধান ক্ষেতে জরুরি অবতরণ করেছে। তবে আরোহী পাইলট অফিসার জামি ও স্কোয়ার্ডন লিডার ফারুক অক্ষত রয়েছেন। তাদের জরুরিভিত্তিতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। কিছু সময় পর বিমানটিতে যান্ত্রিক ক্রটি দেখা দেয়। এ সময় কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করে জানতে পারেন, যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তা এবং ফায়ার ব্রিগেডের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে ছোটেন। আর বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে উড়ে গিয়ে পাইলট দু’জনকে উদ্ধার করে বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ ঘটনাস্থল থেকে জানান, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর শুনে আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে চাইলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে কেউ বিমানটির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেননি।

গ্রামবাসী জানায়, সকাল ১১টার পর পরই বিমানটি মাহিদিয়ার আকাশে নীচের দিকে নামতে থাকে।

এ সময় মাহিদিয়া পুব মাঠে বোরো ক্ষেতে কর্মরত কৃষক আবুল হোসেন জানান, বিমানটি মাটি স্পর্শ করে কিছুদূর হেঁচড়ে যায়। পরে সেটি ইজ্জত আলী বিশ্বাসের ধান ক্ষেতে গিয়ে থেমে যায়। সুমন আকবর নামে স্থানীয় এক যুবক ঘটনাস্থল থেকে জানান, জরুরি অবতরণে বাধ্য হওয়ায় প্রশিক্ষণ বিমানটির বেশ ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে আরও জানতে যশোর বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট ম্যানেজার আলমগীর পাঠান ও টাওয়ার কন্ট্রোল রুমে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।

কন্ট্রোল টাওয়ারের ইনচার্জ আবদুল লতিফের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হলেও তিনি জানান, ‘আমি ছুটিতে রয়েছি যশোরের বাইরে।’

(দ্য রিপোর্ট/একে/এসবি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)