যান্ত্রিক হাত দিয়ে জীবন্ত স্পর্শানুভূতি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিজ্ঞানীরা এমন একটি যান্ত্রিক হাত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যার মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা এই হাতের আঙ্গুল থেকে জীবন্ত স্পর্শানুভূতি পেতে পারবেন।
ডেনমার্কের হাত হারানো এক ব্যক্তিকে এ ধরনের একটি হাত লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতালির ডাক্তাররা সার্জারির মাধ্যমে হাতটি তার বাহুর স্নায়ুগুলোর সঙ্গে যুক্ত করে দেন।
এক দশক আগে অগ্নিকাণ্ডে বাম হাত হারানো ডেনিস অ্যাবো নামের ওই ব্যক্তি বলেন, ‘তার বাহুতে লাগিয়ে দেয়া যান্ত্রিক হাতটি সত্যিই বিস্ময়কর।’
গবেষণাগারের এক পরীক্ষায় তিনি ওই হাত দিয়ে ধরা বস্তুগুলোর আকার ও কাঠিন্য বা নমনীয়তা চোখ বন্ধ করেই বুঝতে ও বলতে পারছিলেন। এমনকি অন্ধকারে ব্যবহার করেও সব বোঝা যাচ্ছিল ওই হাত দিয়ে। পুরো এক মাস ধরে ওই গবেষণায় অংশ নেন ডেনিস অ্যাবো।
সায়েন্স ট্রান্স ন্যাশনাল মেডিসিন নামক জার্নালে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে। ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির রোবোটিকস বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল পুরো গবেষণাটির নেতৃত্ব দেন।এ ধরনের গবেষণা এটিই প্রথম। যান্ত্রিক হাত তৈরি করতে পারাটাই এই গবেষণার প্রধান সাফল্য নয়; বরং মস্তিষ্কে ইন্দ্রীয় সংবেদনা প্রেরণে সক্ষম বৈদ্যুতিক সার্কিট ও সফটওয়্যার আবিষ্কারই এর প্রধান আকর্ষণ।
ইতালির বিজ্ঞানী প্রফেসর সিলভেস্ত্রো মিসেরা বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। কোনো শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ এই প্রথমবারের মতো কৃত্রিম অঙ্গ থেকে জীবন্ত স্পর্শানুভূতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।’মিসেরা বলেন, ‘আমরা কৃত্রিম হাতটিতে এমন কিছু বৈদ্যুতিক সেন্সর বসিয়ে দেই, যা কোনো স্পর্শকে শনাক্ত এবং ওই সম্পর্কিত তথ্য পরিমাপ করতে সক্ষম। আর কম্পিউটার এলগোরিদম বা সংখ্যাতত্ত্ব ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক সেন্সরের সিগন্যালগুলোকে জীবন্ত প্রণোদনায় রূপান্তরিত করা হয়, যা আবার মানবদেহের স্নায়ুগুলো মস্তিষ্কের কাছে ব্যাখ্যা করতে পারে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪)