দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : কসোভোর উত্তর মিত্রোভিকা শহরের মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে মুখোশধারীদের হামলায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে। যে ভবনটিতে ভোটগ্রহণ চলছিল মুখোশধারীরা সেটিতে ঢুকে পড়ে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ও ব্যালট বাক্স ছুড়ে ফেলে দেয়। শহরটিতে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ বাস করে। খবর বিবিসি’র।

এবারই প্রথমবারের মত উপজাতীয় সার্বদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবারের ওই ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন খুবই কম ভোট পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নির্বাচনে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, দ্য ওরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন (ওএসসিই) এই ঘটনার পর শহরের তিনটি ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একজন মেয়রপ্রার্থী ক্রিস্তিমির পানতিক বলেছেন, মুখোশধারীরা ব্যালট বাক্সগুলো আছাড় মারতে শুরু করে ও ব্যালট পেপারগুলো ছুড়ে ফেলে দেয়। এসময় তারা নির্বাচন কমিশনের কর্মীদেরও অপমান করে এবং একটি চেয়ার দিয়ে একজন বৃদ্ধাকে আঘাত করে।

সার্বিয়া ও কসোভোর সরকার ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনতে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা খুব কমই সফল হতে পেরেছে। অন্যদিকে কিছু কসোভিয়ান-সার্ব জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা যদি তারা ভোট দেয়, তাহলে সেটি হবে কসোভোকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বৈধতা দেয়া।

কসোভোর মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ভোট দিতে এই প্রথমবারের মত বেলগ্রেডের সরকার সার্বদের উপর চাপ প্রয়োগ করে। ২০০৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা আগে, কসোভোর প্রশাসনিক দায়িত্বে জাতিসংঘ ছিল।

(দিরিপোর্ট২৪/আদসি/জেএম/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)