ফায়ার ইন্সপেক্টরসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক
হাসিব বিন শহিদ, দ্য রিপোর্ট : ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ইন্সপেক্টরসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।
ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ইন্সপেক্টর খন্দকার সানাউল হক, ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলালসহ অন্যান্যদের, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের প্রশাসন শাখার অসিফ সহকারী মোস্তাফিজুর রহমান এবং রাজশাহীর পুটিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ইন্সপেক্টর খন্দকার সানাউল হকের বিরুদ্ধে গার্মেন্টস ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন ও নতুনভাবে ইস্যু করার ক্ষেত্রে মালিকদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সম্প্রতি এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কর্মকতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতারকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এবং পরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. আবু তোরাবকে এর তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
ঢাকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলালসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে এল এ কেসের ক্ষতিপূরণের দুই লাখ ২৪ হাজার ৯৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। সম্প্রতি এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক আবদুছ ছাত্তার সরকারকে অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তা ও পরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) মো. আবু তোরাবকে এর তদারককারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের প্রশাসন শাখার অসিফ সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির তদবির করা, ২০ শতাংশ কমিশনের মাধ্যমে ভুয়া নিবন্ধন করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেনকে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদকে এর তদারক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া রাজশাহীর পুটিয়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে কলেজের উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দান করে এমপিওভুক্তির জন্য মাউশিতে আবেদন দাখিলের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ জন্য দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালককে এ অনুসন্ধান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসবি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)