ঢাবির ফজিলাতুন্নেছা হলে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি খাদিজাতুল কোবরা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মারুফা নাবিলার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাতে হলের হাউজ টিউটর সীমা ইসলামকে মৌখিক অব্যহতি দেন প্রভোস্ট সাবিতা রিজওয়ানা রহমান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সভাপতি গ্রুপের সমর্থকরা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামে। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতি খাদিজাতুল কোবরাসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
সভাপতি গ্রুপের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ইন্দ্রানি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘প্রভোস্ট ম্যাডাম আমাদের প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। হলের ছাত্রীসহ কর্মচারীদের সঙ্গেও তার বিরোধ সম্পর্ক। তিনি বুধবার রাতে ১১৯নং রুমে গিয়ে ছাত্রীদের নির্যাতন করেন। তা ছাড়া বিনা কারণে হাউজ টিউটরকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলে প্রভোস্টের সামনে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা হলে বহিরাগতদের আবাসনের ব্যবস্থা করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এটি আমরা জানতে পেরে প্রভোস্টকে জানাই। প্রভোস্ট খোঁজ নিয়ে দেখেন, চাঁদা আদায়ে হলের হাউজ টিউটর সীমা ইসলামের সহযোগিতা রয়েছে। এ কারণে প্রভোস্ট তাকে অব্যহতি দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্যা বলেন, ‘হলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কথা জানতে পেরে আমরা আলোচনায় বসার চেষ্টা করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ আলী দ্য রিপোর্টকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়েদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। আশা করছি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্টের ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রভোস্ট, ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আলোচনায় বসেছেন বলে জানা যায়।
ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তার জন্য মূল ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা।
(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এসবি/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)