দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দেশে বর্তমানে ৮৫ লাখ ২০ হাজার হেক্টর আবাদযোগ্য জমি ও ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৮০ একর খাস জমি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ পৃথক দুটি প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে এ তথ্য জানান।

মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে চাষাবাদ করার জন্য মোট আট দশমিক ৫২ লাখ হেক্টর জমি রয়েছে। চাষাবাদের জমি রক্ষার্থে সরকার ন্যাশনাল এগ্রিকালচার পলিসি-১৯৯৯’র ১২.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারের ল্যান্ড পলিসির আলোকে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা নির্মাণ, আবাসন তৈরী, ইটভাটা তৈরী ইত্যাদি খাতে উর্বর কৃষি জমি ব্যবহারের প্রবণতা বন্ধ করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শিরীন আখতারের এক প্রশ্নের উত্তরে ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭০৪ দশমিক ৮০ একর খাসজমির জমি রয়েছে। এর মধ্যে বন্দোবস্তযোগ্য খাসজমির পরিমাণ ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬৩ দশমকি ৮০ একর। এর বিপরীতে ভূমিহীন পরিবার রয়েছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৭ টি।’

ছবি বিশ্বাসের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, নামজারিতে হয়রানি রোধে নির্ধারিত ফরমে নির্ধারিত ফিসের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে দেওয়া আছে। এ ছাড়া নামজারি কেস নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা মহানগরীর জন্য ২ মাস ও অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে ৪৫ দিন করা হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনকারীর নিকট এসএমএস এর মাধ্যমে নামজারি নোটিশ জারির পদ্ধতি ঢাকা মহানগরীর রমনা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক সারাদেশে এটি চালু করা হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরএইচ-এইচআর/জেএম/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)