পটুয়াখালী সংবাদদাতা : চিফ হুইপ আসছেন। তাকে তুষ্ট করতে হবে। এ জন্য নির্মিত হয়েছে দেড় শতাধিক তোরণ। প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে এই তোরণের পাশাপাশি রয়েছে রংবেরঙের পোস্টার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড।

পটুয়াখালীর বাউফলে শুক্রবার সংবর্ধনা নিতে আসছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। এটি তার নির্বাচনী এলাকা। আর তাকে বরণ করে নিতে এভাবেই বর্ণিল আয়োজন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।

চিফ হুইপের আগমন উপলক্ষে উপজেলার বগা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে কালাইয়া বন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে এমনই চিত্রের দেখা মিলছে। দেড় শতাধিক তোরণে শোভা পাচ্ছে চিফ হুইপের ছোট-বড় নানা আকারের প্রতিকৃতিও।

উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বিকেল ৩টায় স্থানীয় সরকারি পাবলিক মাঠে চিফ হুইপকে দেওয়া হবে বিশাল গণসংবর্ধনা। এতে সভাপতিত্ব করবেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ।

দলীয় সূত্র দ্য রিপোর্টকে জানায়, চিফ হুইপকে খুশি করতে কমপক্ষে ১৫০টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দশটি তোরণের নির্মাণ কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে তৈরি তোরণগুলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের সৌজন্যে নির্মিত হয়েছে।

চিফ হুইপকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়াল, গাছ ও খুঁটির সঙ্গে লাগানো হয়েছে হাজার হাজার পোস্টার। টাঙানো হয়েছে কয়েক শ‘ ব্যানার ও ফেস্টুন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিষ্ঠান প্রধান বলেন, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারাই তাদের পরিচালনা পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন। এ কারণে তারা বিদ্যালয়ের খরচে তোরণ বানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে তার প্রতিষ্ঠানের সৌজন্যে একটি তোরণ ও এক হাজার টাকা ব্যয়ে একটি ব্যানার বানিয়েছেন।

ডেকোরেটর ব্যবসায়ী এমদাদ মিয়া বলেন, যারা আগে বানিয়েছেন তাদের একটু খরচ কম হয়েছে। তবে এ সব তোরণ তৈরিতে কমপক্ষে বিশ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গণসংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, তিনি (চিফ হুইপ) তাদের গর্ব। এ কারণে তাকে সম্মান জানানোর জন্য নেতাকর্মীরা এবং স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নিজেদের উদ্যোগে তোরণ তৈরি করেছেন।

(দ্য রিপোর্ট/বিডি/এমএআর/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)