দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুলক হাসান মূলত কবি। গদ্যচর্চায়ও তার সম্পৃক্ততা আছে। তিনি ‘বিহঙ্গকাল’ নামে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, চখড়ি মেয়ে, জল ও তৃষ্ণা, সব দাগ উঠেনা, পরকীয়া ওমে, রোদ ও ছায়ায় রচিত। তার একমাত্র গদ্যগ্রন্থ ‘কবিতার গদ্যরূপ’। ইতোমধ্যেই লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণে চলে এসেছে ‘বিহঙ্গকাল’-এর নতুন সংখ্যা।

কথা প্রসঙ্গে কবি পুলক হাসান দ্য রিপোর্টকে বলেন, সঠিক প্রচারণার অভাবেই লিটলম্যাগের গুরুত্ব সত্যিকার অর্থে পাঠকের কাছে পৌঁছেনি। মিডিয়াগুলোও সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এটি শেষ পর্যন্ত লিটলম্যাগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। বলা যেতে পারে ব্যক্তিগত উন্মাদনায় সীমিত লিটলম্যাগ। অথচ সাহিত্যের অন্তঃস্রোত বহমান রাখার ক্ষেত্রে লিটলম্যাগের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ লিটলম্যাগ কখনও কোনো বাধ্যবাধকতার মধ্যে ছিল না। সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ লেখকদের মুক্তচিন্তার বিকাশে লিটলম্যাগ একটি স্বাধীন মুখপত্র হয়ে গেছে।

লিটলম্যাগ যেহেতু একটি সার্বভৌম প্রতিষ্ঠানের মতো সে জন্য এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে বাণিজ্যমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এর প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রে উদাসীনতা। এ ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মতো লিটলম্যাগে পৃষ্ঠপোষকতা করে সরকার সাহিত্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ ছাড়া ব্যক্তি ও সমাজের অংশগ্রহণও জরুরি। এতসব অভাব-অভিযোগের পরও এবারের প্রসারিত লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ আমাদের অনেকাংশেই আশান্বিত করেছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এইচএসএম/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪)