দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত ডিসেম্বরে ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কারাতেকারা ৬টি স্বর্ণপদকসহ ১১টি পদক জিতেছে। তারপরও তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাদের অপরাধ ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া।

এ বিষয়ে কারাতে ফেডারেশনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শেখ আলী আহসান বাদল বলেছেন, ‘কারাতে ফেডারেশনকে না জানিয়েই ভারতে খেলতে গেছে কারাতে দল। তাদের বিপক্ষে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেটা আমরা আগামী কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেব। বিষয়টি আমি ফেডারেশনের সভাপতি মহোদয়কেও জানিয়েছি। তিনিও এটা কার্যনির্বাহী কমিটিতে উঠাতে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে নই। তারা আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নেবে, পদক জিতবে এটাই আমাদের চাওয়া। কিন্তু নিয়ম মেনেই সেটা করা উচিত। আমরা অতীতেও কারাতেকাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিদেশে যেতে সাহায্য করেছি। ভারতে অংশগ্রহণকারী দলটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বিষয়ে আমাদেরকে কিছু জানায়নি।’

কারাতে ফেডারেশনের অনুমতি ছাড়া বিদেশ সফরে কারাতেকারা সরকারি অনুমোদন (জিও) কীভাবে পেয়েছেন সেটা জানেন না শেখ আলী আহসান বাদল। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের না জানিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কীভাবে তাদের জিও দিয়েছে এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। কারাতে ফেডারেশন এসএ গেমসে দেশকে চারটি স্বর্ণপদক উপহার দিয়েছে। হয়ত এ খেলাটিকে কেউ অন্য স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি দেশে আন্তর্জাতিক একটি কারাতে প্রতিযোগিতাও হয়েছে ফেডারেশনের সম্পৃক্ততা ছাড়াই!’

কারাতে ফেডারেশনের অনুমোদন ছাড়া কারাতে দলের জিও দেওয়ার বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন ফেডারেশনের অনুরোধে এনএসসি জিও দিয়েছে সেটি দেখতে হবে। বিষয়টা আমরা দেখছি।’

(দ্য রিপোর্ট/ওআইসি/এইচএসএম/এএল/ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪)