চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ের বাল্যবিয়ে বন্ধ
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : অবশেষে বন্ধ হলো চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমানের একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কেয়ার বাল্যবিয়ে।
বৃহস্পতিবার মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। এ উপলক্ষে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্র বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছিল। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছিল বিশালাকার গেট। সম্ভাব্য অতিথিদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া কনে সুমাইয়া আক্তারের বয়স নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা দাবি করেন, তার মেয়ে সাবালিকা। বয়স ১৮ বছরেরও বেশি।
তবে জেলা লোকমোর্চার সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন জোর দিয়ে বলেন, কনের বাবা বিয়ে করেছেন ১৯৯৪ সালের মার্চ মাসে। আর প্রথম সন্তান হয়েছে তারও তিন থেকে সাড়ে তিন বছর পর। সে হিসেবে মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম। তিনি দাবি করেন, পুলিশ কর্মকর্তা মেয়ের বয়স গোপন করে বিয়ে দিচ্ছেন, যেটা বাল্যবিয়ে।
এ সব পাল্টাপাল্টি তথ্য নিয়ে দেখা দেয় বিতর্ক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি আইন ভঙ্গ করেন- এমন প্রশ্নও ওঠে। বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ হয়।
খবর প্রকাশের দুইদিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কনের বাবা পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, তার মেয়ের বিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তার ভাই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। তাই পরিবার থেকে মেয়ের বিয়ে স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুমাইয়া আক্তার কেয়া দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের জিরাট গ্রামের মান্নান হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শামিমের সঙ্গে।
(দ্য রিপোর্ট/এমআরআর/এপি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৪)